৫ই আগস্ট পরবর্তী সহিংসতা-নৃশংসতার শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের লাখ লাখ নেতাকর্মী। প্রাণ হারিয়েছেন যেমন কয়েক হাজার, তেমনি সহিংসতায় চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন লক্ষাধিক নেতাকর্মী। বাস্তুহারা হয়ে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে চিরতরে পথে বসেছেন, তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরাও মানবেতর দিনযাপন করছেন।
সর্বোপরি, মেটিক্যুলাসলি ডিজাইনড প্ল্যানের শিকার হয়ে, হামলা-মামলায় সহায়-সম্বল হারিয়ে সারাদেশ নিঃস্ব আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী।
দলের এমন দুঃসময়েও স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায়। ৭৫-পরবর্তী দুঃসময়ে যেভাবে দলের নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়েছেন, নেতৃত্ব আর পরামর্শ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবে ২০২৪-এর আগস্ট থেকে নিয়মিত দলের নিপীড়িত নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন নেত্রী। তাদের সাথে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখছেন। তাঁর নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় কর্মীদের কাছে নেত্রীর ভালোবাসা পৌঁছে দিচ্ছেন।
যে যেভাবে পারছেন অসহায় কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কেউ বিনামূল্যে আইনি সেবা দিয়ে, কেউ আর্থিকভাবে, কেউ বাজার-সদাই করে দিয়ে, অর্থাৎ যার যা সামর্থ, তা নিয়ে নেতাকর্মী-সহযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস যোগাচ্ছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, দেশে-বিদেশে থাকা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই অসহায়-নিপীড়িত কর্মীদের বাড়িতে শেখ হাসিনার নির্দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাঠাচ্ছেন। যা এই দুঃসময়ে কর্মীদের মনে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করছে। অন্তত এই বার্তাটুকু দিচ্ছে- হাল ছেড়ো না বন্ধু, জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো।
এমনই একজন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়া অঙ্গরাজ্য যুবলীগের সভাপতি মো. আলীম উদ্দিন। শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিয়ানীবাজার উপজেলা যুবলীগের মাধ্যমে অসহায়, নির্যাতিত-নিপীড়িত কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ভালোবাসার উপহার।
ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের এই কৃতি সন্তান ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠেছেন। দেশে থাকতে জেল-জুলুম, হামলা-মামলা সয়েছেন। প্রবাসে থেকেও নিয়মিত কর্মীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তৃণমূলের কর্মীরা কেমন আছে, সেই চিন্তা করছেন। তার পাঠানো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপহারসামগ্রী পেয়ে কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। আশায় বুক বাঁধছেন, লড়াই-সংগ্রামের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
মো. আলীম উদ্দিন জানান, “আগস্ট পরবর্তি পরিস্থিতে সহায় সম্বলহীন নিঃস্ব হয়ে গেছে হাজার হাজার নেতাকর্মি, অনেকের আয়ের শেষ অবলম্বনটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধগতিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন নেতাকর্মিরা। তাই অবস্থাসম্পন্ন নেতা কর্মিদের উচিত এই পবিত্র রমাজনে নিপীড়িত কর্মিদের পাশে দাঁড়ানো। এমন নির্দেশনাই দিয়েছেন দেশনেত্রী শেখ হাসিনা।”
কর্মীদের আশা, মো. আলীম উদ্দিনের মত অন্য নেতারাও আরও নিবিড়ভাবে দেশের এই দুঃসময়ে, দলের কঠিন সময়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস যোগাবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে আবারও দেশকে পুনর্গঠনে কাজ করবেন।