দেশটির সরকার শিক্ষার্থী ভিসার জন্য নিয়ম আরও কঠোর করেছে
ভিসার নিয়মে আবারও পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাজ্য সরকার। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী, কর্মী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) নতুন নিয়ম ঘোষণা করা হয়। দেশজুড়ে তীব্র অভিবাসনবিরোধী মনোভাব, অভিবাসনকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহারের ডানপন্থী প্রবণতা এবং অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
নতুন নিয়মে নিয়োগ কর্তাদের এখন বিদেশ থেকে কর্মী আনার আগে এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এমন বিদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করতে ইচ্ছুক নিয়োগ কর্তাদের প্রথমে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা ইতোমধ্যেই দেশে থাকা এমন কাউকে নিয়োগ করার চেষ্টা করেছেন যার জন্য নতুন ভিসা প্রয়োজন।
নতুন নিয়মে ব্রিটিশ সরকার শিক্ষার্থী ভিসার জন্য নিয়ম কঠোর করেছে। বিশেষ করে স্বল্পমেয়াদী ইংরেজি ভাষা কোর্সের জন্য। যাতে এ ব্যবস্থার অপব্যবহার সম্পর্কে উদ্বেগ দূর করা যায়। বিদেশ থেকে আসা যারা ছয় থেকে ১১ মাস ধরে ব্রিটেনে ইংরেজি শিখছেন তারা এই পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, যারা আসলে পড়াশোনা করতে চান না বা কোর্স শেষে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে চান না, তাদের এই পারমিটের অপব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এছাড়া নতুন নিয়মে দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বেতনও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এপ্রিল থেকে এটি প্রতি বছর ২৩,২০০ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ২৫,০০০ পাউন্ড অথবা প্রতি ঘণ্টায় ১২.৮২ পাউন্ড করতে হবে।
সরকার আশা করছে যে, এই পদক্ষেপ বিদেশি কর্মী নিয়োগের ওপর নির্ভরতার অবসানে সাহায্য করবে এবং অভিবাসনের মাত্রা কমিয়ে আনবে।
এদিকে ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ব্রিটিশ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী স্টিফেন কিনক বলেছেন, “আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের সামাজিক স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা প্রতিদিন সারাদেশে মানুষকে যে সেবা ও সহায়তা দেন, আমরা তাদের সেই অবদান ও কাজের মূল্যায়ন করি।”
বারবার অভিবাসন-কর্মসংস্থান আইন ভঙ্গকারী কোম্পানিগুলো যাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে না পারে এমন একটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।