।। জাকির তালুকদার।।
তৌহিদী জনতা, বা মাজার ভাঙচুরকারী মব, ইনকিলাব মঞ্চ, পিনাকী-ইলিয়াস, এমনকি জামায়াত-শিবিরের উগ্র অংশ– সকলের শক্তি প্রদর্শনের পেছনের শক্তি হচ্ছে ইউনূস সরকারের ভেতরের মৌলবাদী অংশ। সরকারের মধ্যে তারাই শক্তিশালী। অর্থাৎ রাষ্ট্রশক্তি বলতে তারাই। তারা চেয়েছিল বলেই মাজার ভাঙচুর হয়েছিল, ৩২ নম্বর ধুলোর সাথে মিশিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল, দেশের সর্বত্র শক্তি প্রদর্শনে নেমেছিল উগ্র ইসলাম নামধারী গোষ্ঠীগুলো। এই সরকারের আমলে ছয়মাস তারা নির্বিঘ্নে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যেতে পেরেছে। নারীদের ওড়না, পোশাক নিয়ে শারীরিক-মানসিক নিপীড়ন চালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে।
সিপিবি অফিস ঘেরাও বা ভাঙচুর করার ঘোষণা দিয়ে তারা যে ব্যর্থ হয়েছে, তার একক কারণ বামপন্থীদের প্রতিরোধ নয়। অন্যতম কারণ হচ্ছে, সরকার এই ব্যাপারে সায় দেয়নি।
কেন দেয়নি?
কারণ দেশে এবং বিদেশে সরকারের মৌলবাদী চেহারা অনেকটাই প্রকাশিত হয়ে গেছে ছয়মাসে। তারা চাপের মুখে পড়ছে। ড. ইউনূসের বৈশ্বিক ইমেজে ফাটল ধরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকার তাই বাধ্য হয়েছে জঙ্গীগোষ্ঠী ও ব্যক্তিদের মাথার ওপর থেকে ছাতা সরিয়ে নিতে। সরকারের এই স্ট্রাটেজি স্থায়ী নাকি সাময়িক তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিরোধ জারি রাখতে হবে।
প্রতিরোধ হতে হবে একাধারে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মিলিত ধারায়।
লেখক: কথা সাহিত্যিক।