সকলকে স্মরণ রাখা দরকার সেনাবাহিনী একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক । এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান এবং অসন্মান করা দেশের অস্তিত্ব বিনাশী কার্যকলাপ । যেভাবে এই জংগী গোষ্ঠী সেনাবাহিনীকে হুমকি দিচ্ছে তা দেশপ্রেমিক জনগন কখনোই মেনে নিতে পারবেনা । এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে কোনো কালবিলম্ব আমরা দেশের জনগণ মেনে নিতে পারিনা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আহ্বান করবো আপনারা দেশ ও এর সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এখন , এই মুহূর্তে কঠিন কঠোর পদক্ষেপ নিন । আপনারা ইতিহাসের এই চরম সংকটকালে দেশমাতৃকার তরে ইতিহাসের সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করুন । আপনারা ইতিহাসের মুক্তিত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন । দেশপ্রেমিক জনগন অধীর আগ্রহে আপনাদের দিকে অপেক্ষমান- এসব দখলদার, জংগী দুর্বৃত্তদের হাত থেকে দেশের অবরুদ্ধ জনগণকে মুক্ত করুন , নিষ্কৃতি দিন । আপনারা যদি জাতির এই ক্রান্তিকালে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তাহলে ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবেনা।
মাননীয় সেনাপ্রধান, আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন এসব দুর্বৃত্তদের হাতে পড়ে দেশ আজ প্রায় সর্বশান্ত । গ্রাম – বন্দর- শহর , পাড়া মহল্লা সবই আজ আতংকিত জনপদে পরিণত হয়েছে । অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর, খুন , ধর্ষণ , অপহরণ, মুক্তিপণ, হুমকি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ির নির্বিচার ধ্বংসযজ্ঞে মানুষ আজ দিশেহারা । রাষ্ট্রের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যা আর অবশিষ্ট আছে । সবই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
শেষপর্যন্ত আমাদের একমাত্র ভরসাস্থল ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও ধ্বংস করতে এরা উদ্যত । এই মহাসংকটময় পরিস্থিতিতে আপনারা দু:খিনী বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে একটুও পিছপা হবেন না বলেই আমাদের স্থির বিশ্বাস।
মাননীয় সেনাপ্রধান, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে যে দেশ ও সভ্যতার চরম ক্রান্তিকালে সামরিক নেতৃত্বরাই নিজদেশ ও পৃথিবীকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন । সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন । জর্জ ওয়াশিংটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন । তিনি একজন সামরিক কমান্ডার । আব্রাহাম লিংকন যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের সময় জাতিকে প্রকৃত নেতৃত্বদিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করেছেন । তিনিও ছিলেন একজন সামরিক কমান্ডার । একইভাবে বৃটেনের চার্চিল , আমেরিকার ফাইভ স্টার জেনারেল রুজভেল্ট , চীনের মাওসেতুং , তুরস্কের কামাল আতাতুর্কসহ অনেক সামরিক নেতা শুধু নিজের দেশ ও জনগণের মুক্তির পথই দেখাননি – এইসব মহান সামরিক নেতারা নিজদেশ ও পৃথিবীর মানুষকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পথ দেখিয়ে তারা বিশ্ববরেণ্য হয়েছেন।
তাই আপনিও দেশের এই চরম সংকটময় মুহুর্তে দেশ ও দেশের মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় সকল ষড়যন্ত্রকারিদের চক্রন্ত, অপপ্রচার ধ্বংস করে ও প্রতিকূলতাকে পরাজিত করে সঠিক সিদ্ধান্ত, সময়োচিত পদক্ষেপ ও ভূমিকা গ্রহণ করে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি । আসুন আমরা সকল মানবাধিকারবিরোধি , বাংলাদেশ বিরোধী , দুর্বৃত্ত , সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদকে পরাজিত করি । প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্ষাকরি।