৩১শে মার্চ ঈদ, মাঝে বাকি দুদিন। ইতিমধ্যে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। অথচ এই আনন্দঘন মুহূর্তেও মুখ কালো করে অনিশ্চিত জীবনযাপন করছেন লাখো পোশাক শ্রমিক। এই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস কিছুই হয়নি। কীভাবে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করবেন, ঈদের পর আদৌ কারখানা খুলবে কি না, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
শিল্প পুলিশের তথ্য বলছে, তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের ১২২টি কারখানায় এখনও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া ৭২৩টি কারখানার শ্রমিক পাননি ঈদ বোনাস।
জানা গেছে, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও বেপজার অধীনস্ত মোট ২ হাজার ৮৯০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৭৬৮টিতে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। তবে ৩০টি কারখানায় এখনও জানুয়ারি এবং এর আগের কয়েক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। অনেক কারখানা অর্ডারের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের মালিকানাধীন কারখানাগুলোতে সহিংস হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে পুরোপুরি। এরমধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে গেছেন গত বছরের আগস্টের পর থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ৪২২টি কারখানায় মার্চ মাসের অর্ধেক বেতন আগাম পরিশোধ করা হয়েছে।
তবে, শ্রম আইন অনুযায়ী পরবর্তী মাসের প্রথম ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেক কারখানা তা মানছে না।
শিল্প পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, ২ হাজার ১৬৭টি কারখানা ইতোমধ্যে ঈদুল ফিতরের বোনাস পরিশোধ করলেও ৭২৩টি কারখানা এখনও ঈদ বোনাস দেয়নি, যা মোট কারখানার প্রায় ২৫ শতাংশ।
এছাড়া, সামগ্রিকভাবে দেশের মোট ৯ হাজার ৬৯৫টি শিল্প কারখানার মধ্যে ৬ হাজার ৬৭৩টি কারখানায় ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। সেই সাথে এখন পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে ৭ হাজার ৮৬০টি কারখানায়।