১৯৭১ সালে এ দেশকে মুক্ত করার জন্য লাখো শহীদের রক্ত প্রবাহিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা এই স্বাধীনতা কোনো দলীয় সম্পদ নয় — এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মৌলিক পরিচয়। অথচ আজও এই মাটিতে, এই বাংলায় সেই রক্তচক্ষু দেখানোর দুঃসাহস দেখায় জামাতের উত্তরসূরিরা! কোথা থেকে আসে এদের এত বড় সাহস? এদের বুকের পাটা এত শক্ত হলো কীভাবে?
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটিতে গতকাল যা ঘটেছে, তা শুধু দুঃখজনক নয়, এটি স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে প্রকাশ্য ছুড়ি গেঁথে দেয়া! মুক্তিযোদ্ধা মো. তরিকুল আলম — একজন যিনি দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন — যখন মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র ইতিহাস রক্ষার জন্য মুখ খুললেন, তখনই জামাতের লেলিয়ে দেওয়া এক নেতা, লতিফুর রহমান, উত্তেজনায় গাত্রদাহ শুরু করে। সভার ভেতরেই তেড়ে আসে, চিৎকার করে, মাইক্রোফোন কেড়ে নেয় — যেন এটা তাদের দখল করা কোনো #পাকিস্তানি ঘাঁটি!
#জামাত আজও প্রমাণ করে চলেছে, তারা এ দেশের আত্মাকে এখনো মেনে নেয়নি। এরা এখনো সেই #পাকিস্তানি প্রেতাত্মার উত্তরাধিকার বহন করে চলে। সেদিন #পাকিস্তানের দোসররা যে স্পর্ধায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি করেছিল, আজ সেই উত্তরসূরিরা একই স্পর্ধায় মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠরোধ করে! এ যেন স্বাধীনতার পবিত্র চেতনাকে প্রকাশ্যে কুকুরের মতো লাথি মারা!
কী ভয়ংকর বিসর্জন দিচ্ছে এই রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রের পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে, একজন মুক্তিযোদ্ধার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয় — আর মুখে একটা শব্দও উচ্চারণ করে না? যেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য থামিয়ে দেওয়ার সাহস হয়, সেখানে বোঝাই যায়, #জামাতের বিষবৃক্ষ আজও মাটি ফুঁড়ে বেড়ে উঠছে।
#জামাত শুধু মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দল নয় — এটা বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে একটি চিরস্থায়ী ষড়যন্ত্রকারী শক্তি। এদের রাজনীতি মানেই রক্ত, মানেই বিশ্বাসঘাতকতা, মানেই জাতীয় আত্মঘাতী ষড়যন্ত্র। আর আজ যখন এরা প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধাকে থামায়, তখন এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় — এটা তাদের পরিকল্পিত পুনর্জাগরণের হিংস্র সংকেত!
প্রশ্ন হচ্ছে — এদের এত বড় সাহস হলো কীভাবে? কারা এদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়? কোন মিথ্যা ‘গণতন্ত্রের’ লেবাসে এদের দানবীয় মুখোশ আড়াল করা হচ্ছে? যদি এ দেশের মাটি আর জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সামান্যতম দায়বদ্ধতা রাখে, তবে #জামাতের মতো স্বাধীনতা-শত্রুদের চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই শেষ হবে না।
তাদের বিরুদ্ধে কোনো ‘সহিষ্ণুতা’ নয় — এখন দরকার আগুনের মতো প্রতিরোধ। দরকার রক্তের মতো উত্তপ্ত ঘৃণা। জামাতকে আর এক ইঞ্চি জায়গা দেওয়া মানে শহীদদের আত্মা তুচ্ছ করা, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে উপহাস করা।
আমরা বলি — যারা মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করে, মুক্তিযোদ্ধাকে থামায়, তাদের জন্য এই মাটিতে কোনো স্থান নেই। লজ্জা, ধিক্কার, ঘৃণা — এদের প্রাপ্য। জামাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে এখনই জেগে উঠতে হবে — নয়তো এরা আবারও ছোবল মারবে আমাদের হৃদয়ে, আমাদের অস্তিত্বে।(আওয়ামীলীগ পেইজ)