বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক কলঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে এনসিপি। এই দল এখন আর আদর্শ, নেতৃত্ব বা জনগণের প্রতিনিধিত্বের প্রতীক নয় এটি এখন দালালদের দলে ভিড়ার নতুন ফাঁদ। দলের পদ-পদবি এখন খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে নির্লজ্জভাবে, আর এই অনৈতিক পদবিনিময় চলছে প্রকাশ্যে, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায়।
জেলা পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের দাম ৫ লাখ টাকা,
উপজেলা পর্যায়ে ২ লাখ টাকা,
ঢাকা মহানগরের পদ ৫০ লাখ টাকা করে,
আর ওয়ার্ড পর্যায়ের পদ যাচ্ছে ১০ লাখে!
এই চড়া মূল্যে যারা পদ কিনছেন, তারা জনগণের সেবা নয়, বরং তদবীর, #মামলা, #চাঁদাবাজি আর কমিশন বানিজ্যের সুযোগ কিনছেন।
এনসিপির নেতা হয়ে গেলে –
থানা-উপজেলায় শুরু হয় তদবীর বানিজ্য,
মামলার হস্তক্ষেপে ঘুষের হাত বদল,
ঠিকাদারী ও গম-চাল প্রকল্পে কমিশন ভাগ,
সরকারি জমি বরাদ্দে দালালি,
এমনকি পুলিশের কাছে সাফাই-সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজেও চলে দরকষাকষি।
এনসিপির রাজনীতি এখন আর জনগণের কল্যাণে নয়, বরং পদের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এক চাদাবাজি সিন্ডিকেট। পদ পাওয়া মানে চাঁদাবাজির লাইসেন্স, আর দলে থাকা মানে তদবীরের সুনিশ্চিত ঠিকানা।
এই রাজনৈতিক ভণ্ডামি রুখে দাঁড়ানো সময় এখনই।
যে দলে পদের দাম নির্ধারিত, সেখানে আদর্শ বা নেতৃত্ব বলে কিছু নেই। এনসিপির মতো দালাল-নির্ভর দল বাংলাদেশের গণতন্ত্র, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে ভেতর থেকে।
প্রশ্ন করুন, প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ করুন কারণ রাজনীতি পবিত্র কাজ, দালালদের ব্যবসা নয়।