বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গত ৮ মাস ধরে সাংবাদিকদের ওপর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলা নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দলটি এ নির্যাতন বন্ধের জোরালো দাবি জানিয়েছে।
দলটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক মাসে সাংবাদিকদের ওপর ‘গণপিটুনির হুমকি’, ‘মিথ্যা হত্যা মামলা’, ‘শারীরিক নির্যাতন’ এবং ‘চাকরি থেকে বরখাস্তের’ মতো ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এসব ঘটনাকে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সাংবাদিকদের ওপর এই নৃশংস হামলা তাদের স্তব্ধ করতে পারেনি, বরং দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকদের আত্মমর্যাদা ও সাহসিকতাকেই উন্মোচিত করেছে।”
এতে আরও বলা হয়, কিছু মহল ইদানীং সাংবাদিকদের ‘আওয়ামী লীগের এজেন্ট’ আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে ন্যায্য প্রমাণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এভাবে সমালোচনামূলক সাংবাদিকতাকে অকার্যকর করে তোলা হচ্ছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক মাসে দেশে রেকর্ড সংখ্যক সাংবাদিকের নামে ‘হাস্যকর হত্যা মামলা’ দেওয়া হয়েছে। এভাবে আইনের অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা চলছে।
কিছু মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ‘চতুর্থ স্তম্ভের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “মুক্ত গণমাধ্যমের পরিবেশ নিশ্চিত করার নামে যা চলছে, তা আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এক ভাঁড়ামি ছাড়া কিছু নয়।”
আওয়ামী লীগ সব রাজনৈতিক দলকে সাংবাদিকদের ‘রাজনৈতিক টার্গেট’ বানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “তথ্যের অবাধ প্রবাহে বাধা দেওয়া দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেবে। এতে আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।”
বিবৃতিতে সাংবাদিকদের ওপর সব ধরনের হয়রানি ও সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।