স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর অতিক্রম করলেও বাংলাদেশ এখনো #রাজাকার, #জামাত, ও# হিজবুত তাহেরীর মত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিভ্রান্ত করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে যেখানে মুখোশধারীরা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা করছে। #রাজাকার কিংবা তাদের উত্তরসূরি #জামাত-#শিবিরের নতুন প্রজন্ম রাজনৈতিক ভোল পাল্টে, নাটক সাজিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়ে জাতিকে ধোঁকা দিতে চায়।
এই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হিজবুত তাহেরী। এই সংগঠনটি ধর্মের নামে বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণ সমাজকে উগ্রবাদ ও সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ করেছে। তাদের নেতারা এক সময় #জামাত-#শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। সেই নেতাদের একজন মাহফুজ যিনি অতীতে শিবির কর্মী, #জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার পর এখন হিজবুত তাহেরীর ব্যানারে নতুন রূপে হাজির হয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই ব্যক্তি এখন বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মুখোশ পরে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলা ও বিকৃত করার একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের অপকর্ম গোপন করে এখন নিজেদেরকে ‘দেশপ্রেমিক’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে’ দাবী করছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে আড়াল করে তারা নতুন করে রাজনীতির ময়দানে জায়গা করে নিতে চায়।
জাতির সামনে এসব মুখোশধারীদের আসল চেহারা উন্মোচন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস শিক্ষা ও প্রচারের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে সচেতন করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ কেবল একটি ইতিহাস নয়, এটি একটি মূল্যবোধ, একটি জাতিসত্তার আত্মঘোষণা। এই মহান অর্জনকে বিকৃত বা দখল করতে দেওয়া যায় না। সুতরাং, নাটক করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মুখোশ পরা হিজবুত তাহেরীর মত গোষ্ঠীগুলোকে চিহ্নিত করে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলাই হবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন।