একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় দেওয়ার পর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে কলাভবন হয়ে শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
এ সময় তাঁরা ‘ইন্টেরিম সরকার, গণহত্যার পাহারাদার’, ‘একাত্তরের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’, ‘আজহার, এই বাংলার গাদ্দার’, ‘জামায়াত–শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘মুক্তিযুদ্ধ হারেনি, নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার বলেন, ‘আজ দেখতে পেলাম একাত্তরের গণহত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আলবদর কমান্ডার আজহার বেকসুর খালাস পেল। যার মাধ্যমে রক্তের ওপর দাঁড়ানো এই সরকার আমাদের সঙ্গে বেইমানি করছে।’
ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা বলেন, ‘এই সরকারের আমলে একের পর এক মব জাস্টিস, সন্ত্রাসী মুক্তি ও একাত্তরের গণহত্যাকারীদেরও মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। একাত্তরে যারা দালালি করেছে, বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘একজন মানবতাবিরোধী ও গণহত্যাকারীর সঙ্গে আপস করা যাবে না।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ‘আমরা অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে আশা করেছিলাম স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষায় শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে ইন্টেরিম সরকার।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, একাত্তরের দালালদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে এবং তা দেখে আইন উপদেষ্টা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেশকে জামায়াতের কোলে তুলে দিচ্ছেন। আমরা এ দেশের মানুষ একাত্তর ভুলি নাই। উত্তরবঙ্গের মানুষসহ বাংলাদেশের সব মানুষ জানে এ টি এম আজহার রাজাকার ছিল।’