২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির শীর্ষ এক কমান্ডার।
সম্প্রতি পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায় এক বক্তৃতায় সংগঠনটির অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার মুজাম্মিল হাশমির একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের( এক্স) এক পোস্টে ভাইরাল হয়েছে।
জঙ্গি নেতা মুজাম্মিল হাশমি বলেছেন, “পাকিস্তান তাদের শত্রুদের কখনো ক্ষমা করে না। মোদি তুই জানিস, গতবছর বাংলাদেশে তোকে হারাইছি আমরা, তুই নিশ্চিত জেনে রাখ বাংলাদেশে তোদের পরাজিত করছি আমরা।”
এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নেপথ্যে বিদেশী প্রভাব ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার যে অভিযোগ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার করেছিল, তা আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। আন্দোলনে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল স্নাইপার দিয়ে। যেসব ঘটনাকে তৃতীয় পক্ষের মদদে সংঘটিত বলে সেসময় উল্লেখ করা হয়েছিল।
মুজাম্মিল হাশমির এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন নিশ্চিত করতে বৈছা আন্দোলনের সময় লস্কর-ই-তৈয়বা পরিকল্পিতভাবে জঙ্গি হামলা চালানোর বিষয়টি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছে। নির্মমভাবে পুলিশ হত্যা, বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস, টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনাগুলোর প্যাটার্নে বিদেশি অপশক্তির অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মিডিয়া শাখার কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা কোন মন্তব্য করেনি।