আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং দেশেবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। এই অবৈধ দখলদার সরকার উগ্র-সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রত্যক্ষভাবে মদত দিয়ে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে এবং এর ভিত্তিমূল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে নস্যাৎ করতে সদা তৎপর এই জঙ্গি ব্যাকড ফ্যাসিস্ট এই সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী এটিম আজাহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। এ রকম একজন জঘন্য মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী বেকসুর খালাস পাওয়ায় দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রত্যেকটি মানুষ মর্মাহত হয়েছে। অনেকে এই অবৈধ সরকারের এহেন ঘৃণ্য কাজের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আবার অনেকে প্রকাশে প্রতিবাদ করেছে। কিছু বাম দলের ছাত্রসংগঠন এর নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। তাদের কর্মসূচিতে ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা ন্যক্কারজনকভাবে হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয়। অথচ এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বারংবার এই হামলা বা আক্রমণের ঘটনা ঘটে।
আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, জামাত-শিবির এই দেশের ও জনগণের শত্রু। তারা গণবিরোধী শক্তির ধারা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এরা এদেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে কাজ করেছিল। এরা পরাজিত শক্তি। যারা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার বৈধতা থাকার কথা নয়। অথচ তারা ফ্যাসিবাদী কায়দায় দানবের রূপে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এরা এদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের ধারা বজায় রেখেছে। তবে এদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে বা তার বিচারের দাবিতে উত্থিত গণকণ্ঠকে রোধ করতে চায়। আমরা বাম সংগঠন শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদই জানাচ্ছি। একইসাথে এদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে, জনগণের সম্মিলিত লড়াই ও সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা যে বাংলাদেশ অর্জন করেছি তার অগ্রযাত্রা রুখে দেওয়ার জন্য এই পরাজিত শক্তি সর্বদা তৎপর। যা আমরা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক সকলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে এই দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার এবং একাত্তরের ন্যায় এদেরকে পুনরায় পরাজিত করার।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।তারিখ: ৩১ মে ২০২৫