বাংলাদেশের ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে এই জাতির শক্তির মূল উৎস তার জনগণ, আর জনগণের হৃদয়ের স্পন্দনে সবচেয়ে গভীরভাবে গেঁথে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হোক কিংবা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, উন্নয়ন হোক কিংবা সংকট মোকাবিলা প্রতিটি সময়েই আওয়ামী লীগ এই জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছে সাহসিকতায়, আত্মত্যাগে এবং দূরদর্শিতায়।
আজ যখন গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে, যখন ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়, তখন আমাদের মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী। কারণ এই দল গঠিত হয়েছে রক্ত দিয়ে, গড়ে উঠেছে মানুষের ভালোবাসা দিয়ে। এই দলের শেকড় প্রোথিত সাধারণ মানুষের ঘামে, শ্রমে আর স্বপ্নে। তাই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা যায় না বন্দুকের নল দিয়ে, গুজব দিয়ে কিংবা ষড়যন্ত্রের কুয়াশায়।
বর্তমানে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নানা অপপ্রচার, বিদেশি প্ররোচনা এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির আশ্রয়ে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা ভাবছে, বুলেট আর বিভ্রান্তির শক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করা যাবে। কিন্তু ইতিহাস বলে, যেখানে বুলেট থেমে যায়, সেখানেই আওয়ামী লীগের মিছিল শুরু হয়।
আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগ যতদিন ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ততদিন এই দেশ মাথা নত করবে না কোনো স্বৈরাচারের, জঙ্গিবাদের, বা আগ্রাসী আগুনের কাছে। নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, সাংগঠনিক শক্তি, গণভিত্তি এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আওয়ামী লীগকে এক অপরাজেয় শক্তিতে রূপ দিয়েছে। এই শক্তিই আজ দেশের মানুষের নিরাপত্তা, উন্নয়ন, এবং স্বাধীনতা রক্ষার প্রধান ঢাল।
এখন সময় সব মতবিরোধ ভুলে গিয়ে আবারও এক কণ্ঠে বলার:
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।
✊🏼 যেখানে ঐক্য, সেখানেই বিজয়। 🕊️ যেখানে আওয়ামী লীগ, সেখানেই মুক্তি।