বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অবৈধ দখলদার খুনি ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার কর্তৃক দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ ও প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাতকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছে, দেশের একজন প্রবীণ নাগরিককে মধ্যরাতে কোনোরকম গ্রফেতারি পরোয়ানা ছাড়াই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন। বর্তমান দখলদার সরকার ইতিপূর্বে আরও অনেক সম্মানীয় নাগরিক, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষকে একইভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। এর সর্বশেষ শিকার অধ্যাপক বারাকাত। অধ্যাপক বারাকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বা অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যানই নন, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি এবং একজন উঁচুমাপের গবেষক। যার গবেষণায় বাংলাদেশের প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা প্রাধান্য পেয়েছে এবং উপকৃত হয়েছে। একইসাথে তাঁর গবেষণায় দেশে মৌলবাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। যে মুখোশধারীরা বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী। এই দখলকারীদের বদ-স্বার্থে আঘাত করে দেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে উন্নীত করতে অধ্যাপক বারাকাত নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এবং জীবনভর গবেষণায় ব্যাপৃত থেকেছেন। দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিত এই গবেষকের পরিণতি হয়েছে আজকে কারাবরণ। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য নজির বলে মনে করি।
বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করে বই লেখার কারণে ২০০৪ সাল থেকে একাধিকবার তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী। আমাদের আশঙ্কা, জঙ্গিদের সেই হুমকিকে কারাগারে রেখে বাস্তবে রূপ দিতেই তাঁকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে।
অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে অবহেলিত ও অপমানিত মানুষ হলো মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষেরা। অধ্যাপক বারাকাতকেও জঙ্গিবান্ধব খুনি ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের কোপানলে ফেলে অপমানিত করা হচ্ছে। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এহেন আচরণ দেশবাসী মেনে নেবে না এবং একদিন গর্জে উঠে এর জবাব নেবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।অধ্যাপক বারাকাতকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতিকে আরও জোরালোভাবে প্রমাণ করেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত একজন গণবুদ্ধিজীবি, অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন, শ্রেণিকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে সর্বত্র তিনি ন্যায় ও নীতির পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। তার প্রতি যে কোনো অন্যায় করা হবে দেশের মানুষের প্রতি অন্যায়। যা শুভ বোধসম্পন্ন প্রতিটি মানুষকে আহত ও সংক্ষুব্ধ করেছে।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।তারিখ: ১২ জুলাই ২০২৫