গোপালগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের গড়ে তোলা প্রতিরোধের ওপর সেনাবাহিনীর গুলিতে চারজন শহিদ এবং শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, জাতির জনকের সমাধি গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিদাতা এনসিপি নেতাদের রক্ষা করতে আসা সেনাবাহিনী নিরীহ জনতার ওপর সরাসরি গুলি চালায়, এতে বেসামরিক জনতার প্রাণহানি ও আহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শহিদ ব্যক্তিদের পরিচয়: ১. দীপ্ত সাহা, পিতা: সুভ সাহা, ঠিকানা: পোস্ট অফিস মোড়, গোপালগঞ্জ শহর ২. রমজান কাজী, বয়স: ২৪, ঠিকানা: থানাপাড়া, গোপালগঞ্জ ৩. সোহেল মোল্লা, বয়স: ৩৫, ঠিকানা: থানাপাড়া, গোপালগঞ্জ ৪. ইমন তালুকদার, বয়স: ২৮, ঠিকানা: ভেড়ারবাজার, গোপালগঞ্জ
স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকটি মরদেহ পুলিশ নিয়ে গেছে। বিক্ষিপ্ত জনপদ গোপালগঞ্জে এখনো কে কোথায় আছে নিশ্চিত নয়, তাই নিখোঁজদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নামক উস্কানিমূলক কর্মসূচির সময় বঙ্গবন্ধুর সমাধি রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় এনসিপি নেতাদের নিরাপত্তা দিতে আসা সেনাবাহিনী জনতার ওপর সরাসরি গুলি চালায়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শহিদ ও আহতদের শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস জানান, “নিহত চারজনের মরদেহে গুলির আঘাত রয়েছে। এছাড়া শতাধিক আহত ব্যক্তির মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেশিরভাগ আহতের শরীরে গুলির ক্ষত পাওয়া গেছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।