রিকশা যদিও প্রথম উদ্ভাবিত হয় জাপানে, তবে এর নকশা করেছিলেন একজন মার্কিন খ্রিস্টান মিশনারি—জোনাথন স্কোবি (বা জোনাথন গোবলে)। পারকার এফ. ক্যালভিনের লেখা “জোনাথন গোবলে ইন জাপান” বইয়ে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
ধর্ম প্রচারের কাজে মি. স্কোবি থাকতেন জাপানের ইয়োকোহামা শহরে। তাঁর স্ত্রী এলিজা গোবলে চলাফেরা করতে পারতেন না। স্ত্রীকে ইয়োকোহামা শহর ঘুরে দেখানোর ইচ্ছা থেকেই ১৮৬৯ সালে তিনি একটি দুই চাকার, সামনের দিকে হাতলযুক্ত একটি বাহনের নকশা করেন এবং কাঠ দিয়ে সেটি তৈরি করেন। এই বাহনের নাম দেন “জিনরিকশা”।
সময়ের বিবর্তনে এই বাহনই “রিকশা” নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। হাতে টানা এই দুই চাকার যানটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক রিকশা হিসেবে পেটেন্টও পায়।
পরে এই নকশার ভিত্তিতে জাপানে রিকশা তৈরির কাজ শুরু হয়। যদিও প্রথমদিকে এটি মানুষের পরিবর্তে মালপত্র পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হতো।
তবে রিকশার আবিষ্কার নিয়ে আরও কিছু মত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, ১৮৮৮ সালে আরেকজন মার্কিন ব্যাপ্টিস্ট রিকশা আবিষ্কার করেন। উইলিয়াম ই. লুইসের “থ্রু দ্য হার্টল্যান্ড অব ইউএস” বইয়ে দাবি করা হয়, রিকশার আবিষ্কার হয় ১৮৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ওরচেস্টারে। সেখানে অ্যালবার্ট টোলম্যান নামের এক কামার দক্ষিণ আমেরিকান এক মিশনারির চলাফেরার সুবিধার জন্য এই বাহন তৈরি করেন।
এছাড়া বার্লিংটন কাউন্টি হিস্টোরিকাল সোসাইটির এক গবেষণায় জানা যায়, মার্কিন গাড়ি নির্মাতা জেমস বার্চের জাদুঘরে ১৮৬৭ সালের দিকে এই ধরনের এক রিকশার মডেল প্রথম প্রদর্শিত হয়। মি. বার্চ দাবি করেন, সেটি তাঁরই তৈরি করা নকশা।
তথ্যসূত্র: ইন্দ্রনীল সরকার মহাশয়