অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের বেশি সময়ে দেশে অন্তত ৪০ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।
২০২৪ সালের ৯ই আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এর মধ্যে চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩০শে অক্টোবর, বুধবার প্রকাশিত অধিকার-এর মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংগঠনটির সহযোগী মানবাধিকার রক্ষা কমিটি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
তবে অধিকার-এর তথ্য-উপাত্তের সাথে ফারাক রয়েছে অন্যান্য মানবাধিখার সংস্থাগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনের। দেশি-বিদেশি এসব সংস্থার প্রতিবেদনের আলোকে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এবং মব সন্ত্রাস ও হেফাজতে মৃত্যুর এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার মালিকানাধীন সংস্থা হওয়অয় অধিকার প্রকৃত সংখ্যা আড়াল করছে। তাছাড়া নিহতদের বড় অংশের পরিচয় তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাদের হত্যা করা হয়। এসব তথ্য এড়িয়ে গেছে বিতর্কিত সংস্থা অধিকার।
২০২৪ সালের ৮ই আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। তার তিনদিন আগেই নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে সহিংসতার মাধ্যমে উৎখাত করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের মালিকানাধীন সংস্থা অধিকার-এর দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিচারবহির্ভূতভাবে নিহত ৪০ জনের মধ্যে ১৯ জন গুলিতে, ১৪ জন নির্যাতনে এবং ৭ জন হেফাজতে পিটিয়ে মারা যান।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিহত ১১ জনের মধ্যে ৭ জনকে যৌথবাহিনী, ৩ জনকে পুলিশ ও একজনকে সেনাসদস্যরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় ৩ জন নির্যাতনে, ৬ জন গুলিতে এবং ২ জনকে হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারাগারে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ মাসে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে।
