বাংলাদেশের গর্ব, ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক ছায়ানট—যে প্রতিষ্ঠানকে ১৯৭১-এর পাক হানাদাররাও ধ্বংস করতে পারেনি,আজ সেটাই আক্রমণের মুখে! তাহলে প্রশ্ন একটাই— এই দেশে কি পাক সেনাদের চেয়েও নিকৃষ্ট, বর্বর ও সভ্যতাবিরোধী শক্তির উত্থান ঘটেছে? ওসমান হাদির মৃত্যুর সঙ্গে ছায়ানটের সম্পর্ক কী? সংস্কৃতি, গান, মুক্তচিন্তা—এগুলো কি এখন অপরাধ?
নাকি স্বাধীনতার চেতনাই এখন শত্রু? কারা এই তথাকথিত ‘জুলাইযোদ্ধা’? কাদের ইশারায় তারা সংবাদমাধ্যমে হানা দেয়, কাদের মদদে তারা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে? এরা যোদ্ধা নয়—এরা মব, এরা সংস্কৃতিখেকো, এরা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষিত শত্রু। আজ যদি ছায়ানট নিরাপদ না থাকে, আজ যদি শিল্পী, সাংবাদিক, চিন্তক নিরাপদ না থাকে— তাহলে স্পষ্ট করে বলতেই হবে: এই দেশে আবারও অন্ধকার শক্তির রাজত্ব কায়েম করা হচ্ছে। নীরবতা মানে সমর্থন। প্রশ্রয় মানে সহঅপরাধ। আর ইতিহাস সাক্ষী— এই বর্বরতা একদিন ক্ষমা করবে না কাউকে।
