খুলনায় দুটি মোটরসাইকেলে এসে জনসম্মুখে গুলি করে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খুলনায় জনসম্মুখে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়া উপজেলার শলুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন পশুচিকিৎসক।
গতকাল ১৮ই ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার আড়ংঘাটা ইউনিয়নের শলুয়া বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মিলন স্থানীয় মোহাম্মদ বজলুলের ছেলে। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বর্তমান সময়’-এর সম্পাদক ছিলেন এবং শলুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছিলেন। এর আগে তিনি দৈনিক প্রবাহ নামের খুলনার একটি স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় মিলন শলুয়া বাজারে জনতা ব্যাংকের পাশের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। তখন দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন অস্ত্রধারী এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় পশুচিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস মাথায় গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে আড়ংঘাটা থানার ওসি শাহজাহান আহমেদ জানান, পশুচিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস আহত হয়ে পড়ে গেলে সন্ত্রাসীরা দোকানের ভেতরে ঢুকে ইমদাদুল হক মিলনের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে একাধিক গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মিলনের চাচা মো. জামাল শরীফ বলেন, খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখতে পাই মিলন পড়ে আছে। তাকে দ্রুত গাড়িতে করে খুলনা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। ডাক্তার দেখেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার ভাতিজা সাংবাদিক ছিল। তার শত্রু আছে বলে জানি না।
আহত চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাসের ভাই সঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, আমার দাদা একজন চিকিৎসক। তাকে কারা টার্গেট করতে পারে জানা নেই।
ওসি শাহজাহান আহমেদ জানান, ঘটনার পরপরই এলাকায় অভিযান শুরু করা হয়েছে এবং আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) সুদর্শন কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনিসহ অন্য অফিসাররা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। একটি ক্লু নিয়ে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। আশা করা যাচ্ছে, হত্যার কারণ দ্রুতই উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
