ওসমান হাদীর মৃত্যুর পর সারাদেশে জুলাইযোদ্ধাদের নাশতকতার ঘটনা ও বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুরের কারণে চট্টগ্রামের অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতীয় ভিসা সেন্টার (আইভ্যাক) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ ২১শে ডিসেম্বর, রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সেন্টারের সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন।
রোববার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র আইভ্যাকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রামের আইভ্যাক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যেসব আবেদনকারীর ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত ছিল, তাদের জন্য পরবর্তীতে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি জুলাইযোদ্ধারা ভারতীয় হাই কমিশনারের বাসভবনে হামলাসহ বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় স্থাপনাকে আক্রান্তের লক্ষ্যবস্তু করায় উত্তেজনা চলছে।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, জুলাইযোদ্ধা উগ্রবাদী-জঙ্গিরা সহ. হাইকমিশনারের বাসভবন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ছে, ভাঙচুর করছে। ঘটনার জেরে পুলিশ উগ্রবাদী-জঙ্গিদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১২ জুলাইযোদ্ধাকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তিন-চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় একজন পুলিশ সদস্য ও একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সেসময় বাসভবনে ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা বাসভবন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ১২ জন আটক হয়েছেন।
জুলাইযোদ্ধারা ভারতীয় আধিপাত্যবাদের ধুয়া তুলে দেশে সাম্প্রদায়িকতা এবং জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে, দেশকে পাকিস্তানি উগ্রবাদী মতাদর্শের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত উস্কানির মাধ্যমে, মনে করেন দেশপ্রেমিক জনতা। এতে প্রতিবেশী দেশের সাথে কূটনৈতিক সুসম্পর্কের অবনতি ঘটছে। অথচ এই অবস্থা থেকে দেশকে টেনে তোলার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না ইউনূস সরকার, এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের আওতাধীন এই ভিসা সেন্টারে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ সেবা নিতে আসতেন। হঠাৎ কেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণায় বিশেষ করে চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনে ভারত গমনেচ্ছু ভিসা প্রত্যাশীদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
