সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আজ চরম সংকটে। টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো নতুন কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পায়নি। ফলে শিল্প খাতে দীর্ঘ সময় ধরে বাজার থেকে অর্থায়ন বন্ধ রয়েছে। এই স্থবিরতার কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণ ব্যাহত হচ্ছে, আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা একের পর এক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির চিত্র ডিএসইর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। এদের মধ্যে অনেকেই সঞ্চয়পত্র ভেঙে বা ব্যাংক ঋণ নিয়ে শেয়ারবাজারে এসেছিলেন। আজ তারা নিঃস্ব হওয়ার পথে। একজন খুচরা বিনিয়োগকারীর অভিযোগ “অবৈধ সরকারের আমলে…
ফ্যাসিস্ট ইউনূসের সার্বিক সহোযোগিতায় জামায়াতকে জয়ী করার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। বিগত একবছরে একবারের জন্যেও ইউনূস এবং জামায়তের মতের অমিল হতে দেখা যায়নি। জামায়াত ঘেষা দলগুলো বাদে অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের শত চাপাচাপির পরেও, এমনকি সেনাপ্রধান ওয়াকারের ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইউনূস নির্বাচনের সময়কাল বিলম্বিত করেছে। শেষমেশ জামায়াতের কথামত ঠিক রমজানের আগেই নির্বাচনের সময় ঠিক করে অবৈধ এই ফ্যাসিবাদী সরকার। এরই মধ্যে জামায়াত নির্বাচনের মাঠ গুছিয়ে ফেলেছে, সকল স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মব চালিয়ে প্রশাসন দখল করেছে, আদালত থেকে শুরু ইউনূস প্রশাসনেও আরেকটি ডিপ স্টেট সরকার চালাচ্ছে জামায়াত৷ এবারের বিতর্কিত ডাকসু এবং জাকসু নির্বাচনকেও ধরা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে।…
।। মো. হরমুজ আলী।। ১৮০৫ সালের ট্রাফালগার যুদ্ধের স্মরণি এই স্কোয়ার, ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সেনানায়ক নেলসন এর নেতৃত্বে ফরাসি ও স্প্যানিশদের পরাজিত করার গৌরবগাঁথা হয়ে লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও পর্যটকদের কাছে এটা কেবলই দৃষ্টিনন্দন মিলনকেন্দ্র আর বৃটিশদের গৌরবময় ইতিহাসের স্বাক্ষী, বাঙালিদের কাছে তার থেকেও একটু বেশি। পঁচিশে মার্চ একাত্তরের কালো রাত্রিতে হানাদার পাকিস্তানিরা যেদিন ঘুমন্ত বাঙালির উপর পাশবিক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, সেদিন থেকেই যুক্তরাজ্যের অভিবাসী বাঙালি ঐ পাশবিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠে; এর একটা প্রেক্ষাপটও ছিলো। আয়ুবশাহীর অবৈধ ক্ষমতা দখলের শুরু থেকে পুরো ষাটের দশক জুড়ে যুক্তরাজ্যের বাঙালিরা এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। বিশেষকরে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে আগরতলা…
।।ইসমাঈল হোরাইন।। এক গ্রামে শ্রমিক লাগে ৬০০। বেডা আছে ৫০০৷ মহাজনের কাছে শ্রমিক শর্ট৷ বেডা শ্রমিকদের ১০০০ টাকা মজুরি দেয়া লাগে। ঐ টেকা দিয়ে পুরুষ শ্রমিকরা সংসার চালায়৷ মহাজন তো দেখল, ব্যাপক মুশকিল৷ সে গ্রামের বেডিদের যাইয়া কইলো, তোরা জামাইর অত্যাচার সহ্য করতাছস কেন, জামাই তোগোরে খাওয়ার খোটা দেয়, ঠিক মত শপিং এর টেকা দেয় না, আয় আমার কারখানায় কাম কর, তোগোরে টেকা দিমু, তোরা ঐ টেকা দিয়া শপিং করতে পারবি, রেস্টুরেন্টে ঘুরতে পারবি৷ জামাইর দিকে চাইয়া থাকতে হবে না, নিজে স্বাবলম্বী হবি, নিজের খরচ নিজে চালাবি৷ এখন বেডিগুলা নেমে গেছে কামলা দিতে৷ শ্রমিক হয়ে গেছে ১০০০, শ্রমিক লাগে ৬০০।…
খাতায় কোনো কিছু না লিখলেও নাম্বার দেওয়া হয় রাশিয়ায়। রাশিয়ায় অধ্যয়নরত এক ছাত্র লিখেছেঃ রাশিয়ায় পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর দেয়া হয় ৫ আর কেউ কোন উত্তর না লিখে সাদা খাতা জমা দিলে তাকে দেয়া হয় ২। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটিতে আমি পরীক্ষার এই নম্বর পদ্ধতি সম্পর্কে জানতাম না। জেনে অবাক হয়ে ড থিওদর মেদ্রায়েভকে জিজ্ঞেস করি,একজন ছাত্র কিছুই না লিখে ২ পাবে এটা কী যৌক্তিক! তার তো শূন্য পাওয়াটাই সঠিক। ড মেদ্রায়েভ উত্তর দেন, একজন মানুষ এতো শীতের মধ্যে সকাল সাতটার ক্লাসগুলো ধরতে আরো আগে ঘুম থেকে উঠেছে, গণপরিবহনে চড়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাসরুমে পৌছেছে; প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চেষ্টা করেছে, তাকে…
মৌসুমী ভৌমিক। এক কথায় স্বনামধন্য। বাঙালির কাছে নতুন করে তাঁর পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন সম্ভবত নেই খুব একটা। একাধারে সংগীতশিল্পী, গীতিকার, লেখক, গবেষক এবং আর্কাইভিস্ট। বহু দশক ধরে তাঁর গানের সঙ্গে পরিচিত বিশ্বের অগণিত সংগীতপ্রেমী। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে করে চলেছেন ‘ট্রাভেলিং আর্কাইভ’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ (লিংক: https://thetravellingarchive.org)। কাজ নিয়ে, সময়কে দেখা নিয়ে, আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গদর্শন.কম-এর মুখোমুখি মৌসুমী ভৌমিক। রাজর্ষি : আপনার গান ‘নাগরিক বিচ্ছেদী গান’ হিসেবে কিছু জায়গায় চিহ্নিত করা হয়েছে। এই নামটি সম্পর্কে আজকে দাঁড়িয়ে আপনার বক্তব্য কী? যেমন একটা সময়ে কিছু গানকে ‘জীবনমুখী গান’ হিসেবে ট্যাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেরকমভাবেই কি আপনি এটাকে দেখছেন? না এই নামটিকে এবং…
।। শেখ আবদুল্লা।। এদেশের আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ইন্টেরিমের ভারত বিরোধিতা কেবলই ভিত্তিহীন ফাঁকা আওয়াজ ও ভারতভীতির গুজব ছড়িয়ে জনসমর্থন আদায়ের নোংরা অপকৌশল, অপরাজনীতি; যার সাথে বাস্তবতার নূন্যতম সম্পর্ক নাই। পূর্বের সকল চুক্তি বহাল, নতুন চুক্তি অনুমোদন, নতুন বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি, ২০০ রেলের বগি ক্রয়, বিপুল পরিমাণ চাল, পেঁয়াজ,আলু, কাঁচামরিচ আমদানি, দেশের অভ্যন্তরীণ মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানি, কোন ভারতীয়কে পুশব্যাক বা চাকুরিচ্যুত না করা (মূলত আসিফ নজরুল সাহেবের মিথ্যা বয়ান ছাড়া বাস্তবে ছিলোই না), আম উপহারসহ ভারতপ্রীতির এমন বহু উদাহরণ বিগত ১ বছরে সৃষ্টি করেছে। জনগণ এখন বেশ বুঝতে পারছে, ভন্ডরা আগে ভারতের কাছে দেশ…
একদা এই ভারতভূমিতে একজন শিক্ষক ছিলেন। তক্ষশীলাতে রাজনীতিশাস্ত্র পড়াতেন। কোনও একদিন তাঁর হঠাৎ নিজের জন্মস্থানে কথা মনে পড়ে গেল। সেই সুদূর মগধে। তিনি মগধে ফিরে এসে সেখানকার শাসকের সঙ্গে দেখা করলেন। শাসক নিজেকে সদাই শক্তিশালী ভাবেন। সেই শিক্ষক তাঁকে রাজ্যের সুরক্ষা সম্পর্কিত গুটিকয় প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সামান্য এক শিক্ষকের দুঃসাহস দেখো, শাসকের মনে তখন ক্রোধের ঝলকানি দেখা দিল। রুষ্ট শাসক সেই শিক্ষককে চূড়ান্ত অপমানিত করে তাড়িয়ে দিলেন। সেই শিক্ষক, সেদিনের সেই বিতাড়িত ক্ষুব্ধ আচার্য নিজের শিখা বন্ধন করে পণ নিয়েছিলেন, শাসককে সিংহাসন থেকে না নামানো পর্যন্ত তাঁর মন শান্ত হবে না। হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে তিনি গুপ্তচরবৃত্তির গূঢ়বিদ্যা শেখালেন, রাজনীতির মারপ্যাঁচ…
।। এইচ এম শহিদুল ইসলাম।। আবহমান গ্রাম বাংলার প্রাণচাঞ্চল্যের এক অনন্য আয়োজন হলো নৌকা বাইচ। আজ সেই চিরচেনা দৃশ্য ফিরে এসেছে ছোট্ট এক নদীতে। ভরা নদীর বুকে পাশাপাশি সাজানো পাঁচটি সরু ও দীর্ঘ নৌকা, যেন জলের বুকে প্রতিযোগিতার মঞ্চ। প্রতিটি নৌকায় বসে আছেন লাল ও সবুজ পোশাক পরিহিত দক্ষ মাল্লারা। তাদের একসাথে বৈঠা চালানোর ছন্দে সৃষ্টি হচ্ছে সুরেলা গুঞ্জন, আর নদীর বুক ফেনায় ভরে উঠছে। বৈঠার শব্দ যেন ঢাক-ঢোলের মতো ছন্দ তুলছে, দর্শকদের হৃদয়ে জাগাচ্ছে উত্তেজনা। নদীর দুই তীরজুড়ে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই মগ্ন হয়ে দেখছে রোমাঞ্চকর এ প্রতিযোগিতা। কেউ হাততালি দিচ্ছে, কেউবা উল্লাসে চিৎকার করছে—“চলো,…
।। কৌশিক মজুমদার।। ১৯২৬ সালের ৭ ডিসেম্বর, ডেইলি মিরর পত্রিকার পাতা খুলেই চমকে উঠলেন পাঠকরা। প্রথম পাতায় বড় বড় হরফে খবর : Mystery of Woman Novelist’s Disappearance। সঙ্গে মেয়ে রোজালিন্ডকে কোলে নিয়ে আগাথা ক্রিস্টির ছবি। তিনিই নাকি রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গেছেন। তখন ইংল্যান্ড তো বটেই, প্রায় গোটা ইংরাজি বলা জগৎ সবে নড়েচড়ে বসেছে আগাথার লেখা নিয়ে। সদ্য প্রকাশ পেয়েছে “দি মার্ডার অফ রজার অ্যাক্রয়েড”, যা সেই বছরের তো বটেই, আজ অবধি পৃথিবীর সেরা গোয়েন্দা উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটা। আগাথা সানিংডেলে নতুন বাড়িতে উঠে এসেছেন। সঙ্গে স্বামী আর্চি আর মেয়ে। আপাতদৃষ্টিতে সবই তো স্বপ্নের মতো। তাহলে মহিলা গেলেন কোথায়? দাবানলের মতো গুজব ছড়িয়ে…