সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
আজকাল গুপ্ত শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। গুপ্ত বলতে আমরা বুঝি গোপন বা লুকানো। গুপ্তধন, গুপ্তচর। তবে, গুপ্তের আরো অর্থ আছে। সংস্কৃত ভাষা गोप्तृ বা গোপ্তৃ থেকে গুপ্ত শব্দের উৎপত্তি যার অর্থ হলো ‘অভিভাবক’ বা ‘রক্ষক’। একসময় গুপ্ত সাম্রাজ্য (৩২০-৫৫০ খৃস্টাব্দ) ছিল উত্তর ও পূর্ব ভারতের স্বর্ণযুগ। এই যুগ ছিল আবিষ্কার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাস্তুবিদ্যা, শিল্প, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ধর্ম ও দর্শনের বিশেষ উৎকর্ষের যুগ; বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতি মূলত এই যুগেরই ফসল।গুপ্ত যুুগের আমলে অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি যেমন কালিদাস, আর্যভট্ট, বরাহমিহির, বিষ্ণু শর্মা -এর অবির্ভাব হয়েছিলো। রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (পাটনা, বিহার) উজ্জয়িনী (মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত) অযোধ্যা (উত্তর প্রদেশে অবস্থিত)। (২) বাঙালি…
“৫ আগস্টের পর আমরা দেখতেছি দারিদ্র্যতার হার বিপুল পরিমাণ বাইড়া গেছে” – ইউনূস স্বৈরশাসনে ভুক্তভোগী জনতা। স্থানীয়রা বলছেন, এ সন্ত্রাস একদিনে তৈরি হয়নি। গত এক বছর ধরে তারা এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছে। কিন্তু কেন তাদের এত সাহস? কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব? এই প্রশ্ন এখন শুধু কলেজপাড়ার নয়, পুরো দেশের। তারা শুধু কলেজপাড়ায় নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য একটাই—অস্থিরতা সৃষ্টি করা, মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়া, এবং ইউনুসের গদি শক্ত রাখা। বাংলাদেশে মবের ঘটনা শুধু বিশৃঙ্খলা নয়; বরং তা রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা- মানাবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) জানিয়েছে, ইউনূস সরকারের অধীনে গণপিটুনিতে মৃত্যুর সংখ্যা…
বাংলাদেশ আজ অমানবিকতার এক গভীর অতলে নিমজ্জিত। সম্প্রতি স্ত্রীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে স্বামীকে তার সামনেই হত্যা করার নৃশংস ঘটনাটি জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এ ঘটনা কেবল একটি পরিবারের ট্র্যাজেডি নয়, বরং রাষ্ট্রযন্ত্রের ভঙ্গুরতা, আইনের ব্যর্থতা এবং শাসনব্যবস্থার অকার্যকারিতার নগ্ন প্রতিচ্ছবি। *জঙ্গীবাদের উত্থান* অবৈধ ইউনুস সরকারের আমলে দেশে জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদী শক্তির উত্থান ক্রমশ তীব্রতর হয়েছে। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অনুকরণে এই গোষ্ঠীগুলি গ্রাম-শহরে নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করছে। প্রশাসন যেখানে প্রতিপক্ষ দমন ও ভিন্নমত দমনেই ব্যস্ত, সেখানে জঙ্গীরা পাচ্ছে অবাধ স্বাধীনতা। এভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা জঙ্গীবাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। *নারীর নিরাপত্তাহীনতা* ধর্ষণ আজ নিত্যদিনের অপরাধে পরিণত হয়েছে। বিচারহীনতা, ঘুষ ও দলীয় প্রভাবের কারণে অপরাধীরা…
গান্ধীজি অহিংস ছিলেন না। অহিংস ছিল তাঁর মুখোশ। নেতাজি সুভাষকে তিনি কংগ্রেস থেকে সরিয়েছিলেন হিংসার অনলে জ্বলে। প্রমাণ ১৯৩৯ সালে ত্রিপুরি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। সুভাষ নির্বাচনে দাঁড়ালেন গান্ধীজির অমতে। কী এত বড় স্পর্ধা সুভাষের! গান্ধীজি অবাক। তাই তিনি তাঁর মনোনীত প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে সুভাষের বিরুদ্ধে দাঁড় করালেন। জয়ী হলেন সুভাষ। ফল হল মারাত্মক। গান্ধী ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নির্বাচনে নেতাজীর জয় লাভের পর গান্ধীজির উক্তি: ‘The defeat of Pattabhi Sitaramyya is my defeat’ অর্থাৎ পট্টভি সীতারামাইয়ার পরাজয় মানে আমার পরাজয়।’ এ কী সাংঘাতিক কথা! জনগণের ভোটে নির্বাচিত সভাপতি সুভাষচন্দ্র বসুর জয়ে হঠাৎ মহাত্মার মত মানুষের এই ধরনের উক্তির কারণ কী?…
জাতিরপিতা বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে বুঝতে পেরেছিলেন বাংলাদেশ স্বাধনি হবে একদিন। তা খুব বেশিদিন দেরী হবে না। বিষয়টি একটি বইয়ে স্মৃতিচারণ করেন শেখ হাসিনা। আব্বা আমাকে বলেছিলেন, “তোর ছেলে স্বাধীন দেশের নাগরিক হবে। তোদের ছেলের নাম রাখবি জয়।” – শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের জুলাই মাস। ধানমন্ডি ১৮ নং সড়কের এক তলা একটা ছােট বাড়ি। এই বাড়িতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বন্দী করে রেখেছিল আমার মাকে। সাথে জামাল, রেহানা, রাসেল। আমি ও আমার স্বামী, খােকা কাকা, চাচী ও তাদের ছেলে। আমি সন্তানসম্ভাবনা। মার্চ মাসের ২৩ তারিখ আব্বা যে দিন পতাকা তুললেন নিজের হাতে, সেদিন আমাকে বললেন, “তোর ছেলে…
বিলাত সফরকালে চিত্রশিল্পী তারেক আমিন ড: মঞ্জু ইসলামের বাড়িতে আতিথ্যগ্রহণ করেছিলেন। মনজু ইসলাম ব্রিটেনে অন্যতম বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ।তারেক আমিন লিখেন–তাঁর সঙ্গে পরিচিত হওয়া আমার জন্য বিশেষ সম্মানের ও গৌরবের। কিছুদিন আগে তাঁর বাড়িতে আতিথ্য গ্রহনের সু্যোগ হয়েছিল। তাঁর বাড়িতে প্রবেশের মূল সড়কের দৃশ্য এটি। ছবিটি মঞ্জু ভাইয়ের বিশেষ ভালো লেগেছে। আজ থেকে এটি তাঁর বাড়ির দেয়ালে স্থায়ী হতে যাচ্ছে। আমার প্রদর্শনীতে মঞ্জু ভাইয়ের সমর্থন ও ভালোবাসা আমাকে ঋনী করেছে। তিনি বাংলাদেশে জন্মেছেন। কিশোরগঞ্জের হাওরের ঢেউ তাঁকে তাড়িত করে। বাউল আব্দুল করিমের গান ভালোবাসেন। ভালোবাসেন লালন, হাসন, রাধারমন প্রমূখ সহজিয়া মহাজনের গানও। আমরা বহুজনকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত দিয়ে নানান…
বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান, নদীমাতৃক পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ তাকে একসময় দক্ষিণ এশিয়ার নৌ-উদ্যোক্তা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে। বিশেষ করে ১৬শ থেকে ১৮শ শতক পর্যন্ত বঙ্গ ছিল এশিয়া ও ইউরোপীয় বণিকদের জাহাজ ক্রয় ও মেরামতের অন্যতম গন্তব্য। ১. জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রসমূহ • চট্টগ্রাম: “Shipbuilding hub of Bengal” নামে পরিচিত ছিল। এখানে তৈরি জাহাজ ইউরোপীয় বাজারেও বিক্রি হতো। • সোনারগাঁও, গৌড়, বিক্রমপুর, বরিশাল, নরসিংদী: অভ্যন্তরীণ নৌযান থেকে শুরু করে সমুদ্রযাত্রার জন্য উপযোগী বড় জাহাজ নির্মিত হত। • সুন্দরবনের কাঠ: গরান, সুন্দরী, সেগুন, মহগনি প্রভৃতি কাঠ ছিল অত্যন্ত টেকসই এবং সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে সহজে নষ্ট হতো না। ২. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভূমিকা • আরব…
১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভ করে। জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসামান্য কূটনৈতিক সফলতার বিজয় অর্জিত হয় এদিন। এদিন বিশ্বপরিসরে আমাদের স্বাধীনতার অনন্য স্বীকৃতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই দিনে স্মরণ করি গভীর শ্রদ্ধায়।
কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে চলছে মার্কিনিদের বিশেষ বৈঠক, ইমিগ্রেশন ছাড়াই মার্কিন সেনার বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশ ঘিরে রহস্য ঘনীভূত বিশেষ প্রতিবেদক বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর আরও একটি গোপন সামরিক মহড়া। অন্তত ১২০ জন মার্কিন সেনা সদস্যের অংশগ্রহণে এই মহড়া ঘিরে নজিরবিহীন গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষত, কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে এমন একটি গোপন বৈঠক এবং কোনরকম ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া ছাড়াই মার্কিন সেনাদের দেশে অবাধে প্রবেশের খবর ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, গত ১০ই সেপ্টেম্বর…
সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশ’। জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ীতে মো. রিয়াজ (৩৫) নামে এক শ্রমিক নিহতের মামলায় বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে কারাগারে যাওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশে। ভালো থাকুক বাংলাদেশে।’ বার বার একই কথা বলতে থাকেন তিনি। অন্যান্য আসামিরা এসময় মাথা নিচু করে চুপচাপ ছিলেন। এর আগে বুধবার সকালে কারাগারে থেকে ব্যারিস্টার সুমনসহ ৭ জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশের কঠোর…