বিলাসী জীবন ছেড়ে বেদুইনের সঙ্গে গুহায় থাকেন তরুণী
২০২০ সালের মার্চ মাসে জর্ডানের পেত্রা নগরীতে ঘুরতে যান নাটালি। সেখানে গিয়ে এক বেদুইনকে দেখতে পান তিনি। ঘোড়ার ওপর বসেছিলেন সেই অচেনা ব্যক্তি। অপরিচিত ব্যক্তিকে প্রথম দেখাতেই ভালো লাগে তার।
পেশার জন্য দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াতেন তরুণী। কিন্তু ‘সাতসমুদ্র তেরো নদী পার’-এ যে তার জীবনসঙ্গিনী রয়েছেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। বেদুইন প্রেমিকের জন্য ঘরবাড়ি, বিলাসিতা ছেড়ে গুহায় বাস করছেন তিনি। দুই কামরার গুহায় সংসার পেতে বেশ ভালোই রয়েছেন তরুণী।
নিউইয়র্ক পোস্ট সূত্রে জানা যায়, ৪২ বছর বয়সী তরুণীর নাম নাটালি স্নাইডার। আমেরিকার ওরলান্ডোর বাসিন্দা তিনি। পেশায় ভ্রমণ উপদেষ্টা তিনি। একটি ভ্রমণ সংস্থা রয়েছে তার। সেই সূত্রেই আমেরিকা, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, জার্মানির নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের মার্চ মাসে জর্ডনের পেত্রা ঘুরতে যান নাটালি। সেখানে গিয়ে এক বেদুইনকে দেখতে পান তিনি। ঘোড়ার ওপর বসেছিলেন সেই অচেনা ব্যক্তি।
অপরিচিত ব্যক্তিকে প্রথম দেখাতেই ভালো লাগে তার। ক্যামেরায় তার একটি ছবিও তুলে ফেলেন নাটালি। বাড়ি ফিরে গিয়ে সমাজমাধ্যমে সেই ব্যক্তির ছবি পোস্ট করেন তিনি। কাকতালীয়ভাবে সেই ছবি নজরে পড়ে যায় ওই ব্যক্তির। নিজের ছবি দেখে নাটালির সঙ্গে সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ করেন তিনি। ৩২ বছর বয়সী সেই তরুণের নাম ফেরাস বওদিন। নাটালির সঙ্গে কথা বলে বেশ ভালো লাগে ফেরাসের। তাদের আচার-সংস্কৃতির সঙ্গে যেন নাটালির পরিচিতি আরো বাড়ে, তাই তাকে আবার পেত্রা ঘুরতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান ফেরাস।
আড়াই বছর ধরে শুধু সমাজমাধ্যমের পাতায় যোগাযোগ ছিল নাটালি এবং ফেরাসের। এই আড়াই বছরের বার্তালাপেই তারা একে অপরের মনে জায়গা করে ফেলেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাটালি জর্ডন চলে যান। বেদুইন প্রেমিকের জন্য ১১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন তিনি। সেখানে গিয়ে ফেরাসের সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নাটালি।
আমেরিকায় বিলাসিতায় মোড়া জীবনযাপন ছেড়ে ফেরাসের সঙ্গে গুহায় সংসার পাতেন তিনি। দুই কামরার গুহা হলেও তার একটি ঘর গৃহপালিত পশুদের জন্য বরাদ্দ। সেই ঘরে ছাগল, মুরগি এবং উটের জন্য খাবার সঞ্চয় করে রাখা হয়। অন্য ঘরে থাকেন নাটালি এবং ফেরাস। জানা যায়, দিনের নিত্যকর্মের জন্য জমিয়ে রাখা বৃষ্টির জল ব্যবহার করেন তারা। জর্ডনেই একটি ভ্রমণ সংস্থা খুলে ফেলেছেন নাটালি। সুযোগ পেলেই আমেরিকা এবং নিউজিল্যান্ডে চলে যান তরুণী।