বাংলাদেশ আজ এক গুরুতর রাজনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি। সম্প্রতি ইউরোপে একটি টকশোতে জামায়াতে ইসলামের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা স্বীকার করেছেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের জন্য বিদেশি লবিং ফার্ম ভাড়া করেছিলেন। তার এই বক্তব্য দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছে।
আবু বকর মোল্লা তার সাক্ষাৎকারে আরও জানান, বিদেশি সরকারগুলোর কাছে লবিং কার্যক্রম চালাতে জামায়াত ও ড. ইউনূস যৌথভাবে ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সাফল্য কিছু মহলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল, আর সে কারণেই বিদেশি শক্তিকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেওয়া হয়েছিল।
এখানে উল্লেখ্য, ড. ইউনূস পূর্বে প্রকাশ্যে এমন কোনো ষড়যন্ত্রে তার জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক এই বক্তব্য ড. ইউনূসের ‘মেটিক্যুলাস ডিজাইন’ এর পর্দা উন্মোচন করেছে।
জনমনে প্রশ্ন জেগেছে, ড. ইউনূস কীভাবে পারলেন হাজার হাজার মানুষ হত্যা করিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করতে এবং এজন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতে!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে তা কেবল রাজনৈতিক বিতর্ক নয়, বরং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি গুরুতর হুমকি। একই সঙ্গে ১৯৭১-এ স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া জামায়াতের সঙ্গে ইউনূসের সম্ভাব্য আঁতাত ইতিহাসের এক অশুভ পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত দেয়।