আদালতকে ব্যবহার করে মানবতাবিরোধী অপরাধকে বৈধতা প্রদান
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল বিভাগে খালাস দেওয়ার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে আদালতকে “নগ্নভাবে ব্যবহার করে মানবতাবিরোধী ও ষড়যন্ত্রমূলক গণহত্যার রাজনীতিকে বৈধতা দেওয়ার নজিরবিহীন উদাহরণ” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সমগ্র দেশবাসী সাক্ষী ছিল ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার, যেখানে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়িত হয়। এই ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন এবং শত শত নেতাকর্মী আহত হয়ে আজও মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আওয়ামী লীগ বলেছে, আদালতের এই রায় শুধু ন্যায়বিচারের পরিপন্থী নয়, বরং “হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে বৈধতা দেওয়ার এক অশুভ সংকেত।”
দলটি অভিযোগ করেছে, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করে হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি এক নির্মম প্রহসন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই রায় দেশের জনগণের মনে রাষ্ট্রের কার্যকরিতা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিয়ে অবিশ্বাসের জন্ম দেবে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সতর্ক করেছে, “এমন তামাশাপূর্ণ রায় বাংলাদেশকে গভীর খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে এবং রাষ্ট্র অকার্যকর হওয়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
দলটি স্পষ্ট জানায়, মানবতাবাদী ও গণতন্ত্রপ্রেমী দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন চলমান থাকবে। ভবিষ্যতে বিচারহারা মানুষ একদিন ন্যায়বিচার পাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
বিবৃতির শেষাংশে দলটি প্রতিজ্ঞা করে, “জাতির ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়ের বিচার একদিন অবশ্যই বাংলার মাটিতে কার্যকর হবে।”