আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ এক অদ্ভুত ও অকল্পনীয় ঘটনার সাক্ষী হলো। যে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে সেখানে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচার করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসাথে বলছি, অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনাল সহ প্রহসনমূলক বিচার বন্ধ করতে হবে। সকল রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত বছর জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আড়ালে ষড়যন্ত্রমূলক মেটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা, পুলিশ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, সাংবাদিক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকারী জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ খুনি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা কোনোদিন বিচারই চাইতে পারবে না। বিপরীতে অগ্নিসন্ত্রাস, ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও মানুষ হত্যার জঘন্যতম পরিকল্পনা থেকে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুম-খুনের মিথ্যা অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারী ও মানুষ হত্যাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী জঙ্গিরা পেয়েছে দায়মুক্তি। এটা সুনির্দিষ্টভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতি অবৈধ খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের প্রবল পক্ষপাত। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ পৃষ্ঠপোষকতার নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করা হলো। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশে কোনো আইনের শাসন নেই। জঙ্গলের নিয়ম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সারা দেশ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এই দানবীয় উত্থানকে এখনই রুখে দিতে হবে। বাংলাদেশকে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণের সংকল্পে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। দেশ হবে শান্তির জনপদ। আর রাষ্ট্র হবে মানবিক ও কল্যাণকর। এটাই আমাদের অঙ্গীকার। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
