সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যেই সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ১১টার পর কর্মচারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মচারীরা আজ টানা চতুর্থ দিনের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সচিবালয়ের ফটক থেকে ভেতরে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের সামনে যাচ্ছেন। কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ সচিবালয়ে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, সচিবালয়ের প্রধান ফটকে বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াট মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া সচিবালয়ের সামনে বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন…
‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ (সংশোধন) -২০২৫’ বাতিলের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাংবিধানিকভভাবে অবৈধ সরকার জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একের পর এক কালাকানুন ও অবৈধ অধ্যাদেশ জারি করে চলেছে। যাদের নিজেদের জনগণের ম্যান্ডেট নেই এবং যারা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ তারা প্রণীত সকল আইন ও অধ্যাদেশ অবৈধ। এ রকম একটি অবৈধ সরকার কোনো রকম মতামত গ্রহণ না করেই মধ্য রাতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করেছে। আবার ‘সারকারি চাকরি অধ্যাদেশ (সংশোধন) – ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশ জারি করার আগে থেকেই আন্দোলন করতে ছিল। অথচ যে অধ্যাদেশ…
কুখ্যাত রাজাকার এটিএম আজহারকে মৃত্যুদন্ড থেকে খালাস দিয়েছে ইউনুসের ক্যাঙ্গারু কোর্ট। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কুখ্যাত এই রাজাকারকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিল জামায়াত। ১৯৭১-এ আজহার জামায়াতের সে সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। পদাধিকার বলেই আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখার কমান্ডার ছিলেন তিনি, যে বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম দমনে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য। আজহারের বিরুদ্ধে ছয়টি গুরুতর মানবতাবিরোধী অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের মধ্যে দুটি গণহ’ত্যা, একটি ধ’র্ষণ, চারটি হ’ত্যা এবং অ’পহরণ, আটক, নি’র্যাতনের তিন ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃ’ত্যুদণ্ড দেয়, যা ২০১৯…
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম আপিলের রায়ে খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। এই রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত…
চিহ্নিত মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজাহারুল ইসলামকে আপিল বিভাগ খালাস প্রদান করায় সমগ্র বাংলাদেশ স্তম্ভিত। আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে চরম কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো বিগত বছরের ৫ আগস্টে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত নির্বাচিত সরকারকে জোরপূর্বক উৎখাত করেছিল দেশবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। আর দেশবিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারার প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামাত। সেই কারণে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করে জামাতের প্রতি পুরস্কারস্বরূপ চিহ্নিত মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতা এটিএম আজাহারুল ইসলামকে খালাস প্রদান করেছে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সকল…
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় দেওয়ার পর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে কলাভবন হয়ে শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা ‘ইন্টেরিম সরকার, গণহত্যার পাহারাদার’, ‘একাত্তরের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’, ‘আজহার, এই বাংলার গাদ্দার’,…
জুলাই-আগস্টে লালবিপ্লবীগণ যেরকম একটি ট্রাপে পড়েছিলেন, সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যে আওয়ামী লীগারদের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগও একইরকম ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দেশ চালানোয় অবশ্যই সমস্যা ছিলো। সে সমস্যাকে ইউনূস মেটিকুলাস ডিজাইনের মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক বড়ো করে প্রচার করেছিলো। বাংলাদেশের মতো ধান্দাবাজে ভর্তি গরীব দেশে মানুষের সমস্যার অন্ত নেই। তবে, যারা আসলে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ভালো ছিলো, এমনকি তাদেরকেও দেখেছি পেটে গ্যাস জমলেও আওয়ামী লীগকে গালি দিতে। তারা ভেবেছিলো, না তারা আসলে কিছুই ভাবে নাই, তাদেরকে দিয়ে চাওয়ানো হয়েছিলো আওয়ামী লীগ সরকার পড়ে যাক। “পরেরটা পরে দেখা যাবে।” মূল সমস্যা এখানে। আসলে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে…
।। সারা হোসেন।। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিনের মধ্য দিয়ে আমরা একদিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি– তাঁকে অন্তত দিনের পর দিন জেল খাটতে হয়নি। এটি কি স্বস্তির, নাকি একটি অবিচারের নিদর্শন? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মন্তব্যগুলো থেকে বোঝা যায়, অধিকাংশ মানুষ দ্বিতীয়টিকেই সত্য বলে মনে করেন। এ ঘটনা আমাদের সামনে যে মৌলিক প্রশ্নগুলো তোলে, তা খুবই গভীর এবং উদ্বেগজনক। প্রথমত, পুলিশ কেন ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করল– যখন তাদের পক্ষ থেকে ন্যূনতম অনুসন্ধানেই জানা যেত, যেসব ঘটনায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে তাঁর জড়িত হওয়ার সুযোগই নেই? কারণ, তিনি দেশেই ছিলেন না। দ্বিতীয়ত, সরকারি কৌঁসুলি কেন তাঁর জামিন না দেওয়ার আবেদন করলেন? তৃতীয়ত,…
যশোরের অভয়নগরের ডহরমসিয়াহাটি গ্রামে যা ঘটেছে, তাকে “দাঙ্গা” বলা হয় না, তাকে “সহিংসতা” বলা হয় না, তাকে “সংঘর্ষ” বলা হয় না—এটা একটা পরিকল্পিত জাতিগত নিধনের নমুনা। মানুষ পুড়েছে, ঘর ভস্ম হয়েছে, দেবালয়ে থাবা দিয়েছে অসুরেরা। এবং হ্যাঁ, এই ঘটনা ঘটেছে মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক অবৈধ ক্ষমতাকামী নপুংসকের ছত্রছায়ায়, যার নেতৃত্বে চলছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক প্রহসনের ‘অ-সরকার’। এই মানুষরূপী ভেকধারীদের লালন-পালন করেছে যাদের হাতে রক্ত, যাদের রাজনীতি #লাশ, আর যাদের ক্ষমতা মানে #সংখ্যালঘুদের আতঙ্ক। এই #হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল একটি মাছের ঘের, শুনতে হাস্যকর লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তবতাটা অনেক ভয়াবহ। ক্ষমতার বেহায়া কাঠামোর নিচে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব গায়ে জড়ায় ধর্মের পোশাক, তারপর…
সম্প্রতি প্রকাশিত “দ্য অ্যাপোস্টেসি ট্র্যাপ” শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সহিংস উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিস্তার লাভ এবং কৌশলগত পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এই প্রতিবেদন বাংলাদেশকে তালেবানের মতো উগ্রবাদীভাবাপন্ন রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি করা করছে বিশেষ মহল। ইউএনডিপি’র অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান SecDev এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। বাংলাদেশে এর সহয়তাকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে রয়েছে রূপান্তর নামে একটি এনজিও। যা পরিচালিত হয় সরাসরি USAID-এর অর্থায়নে। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন একটি বিষয়ে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের জন্য উগ্র মৌলবাদীদের মাধ্যমে সহিংসতা ঘটিয়েছিল, তাতে অর্থায়ন ও পরিকল্পনা করেছে, তারাই আবার এখন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের…