সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
।। মাছুম কামাল।। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ঢুকে মনে হল–না ঢুকলেই বোধ হয় ভালো হত। স্বাধীনতা জাদুঘর এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। স্বাধীনতা জাদুঘরের মূল প্রদর্শনী কক্ষের দশা এখন এরকম। মেঝেতে ছড়িয়ে আছে ছবির ফ্রেমের ভাঙা কাচের টুকরো। কোথাও আবার আগুনে পুড়ে খসে পড়া পলেস্তরা; সেই সঙ্গে তীব্র পোড়া গন্ধ।সর্বত্র ছড়িয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। পুরো ভবন জুড়ে ভৌতিক অন্ধকার। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে–এ কথা বলে প্রথমে ভেতরে ঢুকতে দিতে বাধা দিলেন একজন নিরাপত্তাকর্মী। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ঢুকে মনে হল–না ঢুকলেই বোধ হয় ভালো হত।জাদুঘরের অবস্থান ভূগর্ভে, ফলে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ভেতরের চিত্র। ভবনের ভেতরে ভাঙচুর করা নিদর্শন…
।। জয় বাংলা রিপোর্ট।। ঈদযাত্রায় সড়ক ও রেলপথে লোকসমাগম নেই কেন?এর সহজ উত্তর মানুষ নিরাপদ নয়। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না কোথায় কি ঘটে-এই শঙ্কায়! উপরন্তু মানুষের হাতে টাকা নেই। শ্রমিকরা বেতন ভাতা পায় নাই। চলাচলে যদি নিরাপত্তা মানুষের না-থাকে,হাতে টাকাকড়িও না-থাকে,তাহলে মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাবে কেন। ঈদ আনন্দ মাটি তো এই দুই কারণেই। গত ৮মাসে মানুষ নিরাপদে রাস্তায় কিংবা ঘরেও নেই। মবজাষ্টিজ দ্বারা কে কোথায় কখন আক্রান্ত হয়, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?এরপর যদি হাতে টাকা না থাকে,বাড়ি যাবে কিভাবে? পোশাক শ্রমিকরা বেতন ভাতা পাননি। তারা বিক্ষোভ করছেন শ্রমঅধিদপ্তরের সামনে।তাদের কণ্ঠে ‘বেতন-বোনাস কিছু পাইনি, কীভাবে সন্তানের মুখে হাসি…
[কিংবদন্তী শিক্ষাব্রতী ভারতীয় শিক্ষক অমৃতা দের একটি শিক্ষণীয় পোস্ট। আমাদের অনেক শেখার আছে এই পোস্ট থেকে। পাঠকের জন্য মুদ্রণ করা হলো।] “তুই বড় হয়ে কি হবি?”— আমি জিজ্ঞেস করলাম। তারক মাথা নিচু করে বলল, “নাপিত হবো, ম্যাম।” “কেন?” “আমার কাকা শহরে নাপিতের কাজ করে দিনে ৮০০ টাকা রোজগার করে। কিন্তু এখানে দিনমজুরির মজুরি মাত্র ৪০০ টাকা। তাই নাপিত হলে ভালো হবে।” আমি একটু হেসে বললাম, “খুব ভালো, হাতের কাজ শেখা দারুণ জিনিস। কিন্তু যদি চুল কাটার কাজের সঙ্গে কম্পিউটারও শিখিস, তাহলে হেয়ার ডিজাইনার হতে পারিস। তুই জানিস, ভালো হেয়ার ডিজাইনাররা দিনে ৮,০০০ টাকাও রোজগার করে?” তারক হতবাক হয়ে বলল, “মাসে?”…
।। আদনান আহমেদ ।। ২৫শে মার্চ। রাত । ১৯৭১ এর এই রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক পৃথিবীর ইতিহাসের ঘৃণ্যতম গণহত্যা গুলোর একটি সংঘটিত হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের উপর। কেবল ঢাকাতেই অর্ধলক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয় এক রাতে। আর যখন সেই কুখ্যাত “অপারেশন সার্চলাইট” এর আর্কিটেক্টদের একজনকে যখন রাষ্ট্র নিজেই সাদর অভ্যর্থনা জানায়, তখন সেটি শুধু জাতীয় অপমান নয়, এক ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহও বটে। মেজর ইকরাম সেহগল—অপারেশন সার্চলাইটের একজন চিহ্নিত অংশগ্রহণকারী, যিনি অপারেশন সার্চলাইটের মতো গণহত্যার অংশ হিসেবে অস্ত্র পরিবহন করেছেন, যিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে বাঙালিদের ওপর নৃশংসতার সরাসরি সহায়তা করেছেন, সেই লোকটিকে ১৭ বছর পর ২০২৫ সালে বাংলাদেশে পুনরায় ঢুকতে…
।। শামীম আজাদ।। রুমিকে আমি যুদ্ধের আগে দেখিনি, চিনতাম না। তাঁকে দেখেছি রুমির যুদ্ধসাথীদের চোখে, স্বাধীনতার পরে। ওরা আমারও বন্ধু বলে শহীদ জননী আমারও জননী হয়েছিলেন।তাঁর ক্যান্সার চিকিৎসার সময় সাপ্তাহিক বিচিত্রায় তাঁরই ভীষণ জনপ্রিয় টিভি কলাম অব্যাহত রাখতেই আমার বিচিত্রায় প্রবেশ। এখন যা গল্প মনে হয়। কত রাত দুপুর বিকেল যে জননীর এলিফেন্ট রোডের বাড়ি ‘কণিকা’য় কেটেছে কিংবা তিনিই গাড়ি চালিয়ে আমার বাসায় এসে সজীব ও ঈশিতার সংগে সময় কাটিয়ে গেছেন বা আমি ঢাকা কলেজের ক্লাশ শেষে দৌড়ে গেছি তা আজ আর গোনা যাবে না। কখনো অলস দুপুরে মাঝের ঘরে জননীর পাশে শুয়ে রুমির গল্প শুনতে শুনতে উপরে ছাদের দিকে…
।। আফজাল হোসেন।। অবুঝ ছোটবেলায় “বুঝ” দানের জন্য বড়রা ছিলেন। তাঁরা তাঁদের বড় বড় ছায়ার নিচে আমাদের নিরাপদ রাখতে চাইতেন। ছোট ছিলাম, আমাদের ভুল ঠিক বাছাই করে দেয়া তাঁরা কর্তব্য বিবেচনা করতেন। তাঁরা ছিলেন বড়। ছিলেন অভিভাবক। ভয় পেয়ে, সমীহ করে তাঁদের ছায়াতে মায়াতেই বেড়ে উঠেছি আমরা। যৌবনকালে বিস্ময় জেগেছে, কৃতি, বিশেষ মানুষদের দেখে। সেরকম অসংখ্যজনকে অভিভাবকস্থানীয় মেনেছি। ভয়ে ভয়ে অনুসরণ করেছি জগতের মধ্যে আর এক জগতের মতো সেই উচ্চতর চিন্তা, দর্শনের বিশেষ মানুষদের। চলার পথে, ভাবনায় নিত্যই তাঁরা আমাদের শক্তি, সাহস ও অনুপ্রেরণা। জীবনকে আরও জানতে, বুঝতে আগ্রহে, আনন্দে তাঁদেরকে অনুসরণ করেছি ভয়ে ভয়ে। সে ভয়, গরুর গুঁতো কিংবা…
স্বাধীনতা দিবসে অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটালো লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসন। এদিন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিমঞ্চে স্থাপিত ম্যুরাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার সাংবাদিকদের জানান, জুলাই আন্দোলনকারীদের আপত্তির কারণে ও জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এটাও জানা যাচ্ছে, এর আগে গত ১৬ই ডিসেম্বরও একই ঘটনা ঘটেছিল। এমন ঘটনা সামনে আসায় বিস্ময় এবং হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, জেলা প্রশাসক কী করে এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিলেন। ম্যুরালের সঙ্গে কীভাবে জুলাইয়ের চেতনা সাংঘর্ষিক হয়! ইতিহাস কি এভাবে কেউ মুছে দিতে পারে? কোনো জনপদের মানুষের সংগ্রামের,…
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশের ৪ অঞ্চলে ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকা ওই অঞ্চলগুলো হলো-চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা। শনিবার এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪। এতে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানানো হয় ওই সতর্কবার্তায়। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প…
ঈদের আগে গত বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ঈদের আগে কর্মীদের বেতন-বোনাস পরিশোধের প্রাণান্ত চেষ্টা করে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রশাসনিক স্টাফরা বেতন বোনাস ঠিকভাবে পেলেও ফুটবল ম্যাচ পরিচালনাকারী রেফারি এবং বাফুফের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নারী ফুটবলাররা ঈদের আগে তাদের বেতন পাননি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩৬ জন নারী ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাফুফে। সাবিনা-কৃষ্ণারা ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে বয়কট করায় তারা চুক্তি করেননি। আফিদাদের পাশাপাশি বাফুফে উঠতি ফুটবলারদেরও চুক্তির আওতায় এনেছে। সেই চুক্তির এক মাস পার হলেও ঈদের আগে তারা বেতন পাননি। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার নারী ফুটবলারদের সম্মানী সম্পর্কে বলেন, ‘চুক্তির পরই সবাইকে (যারা নতুন) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট…
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমার এখন ভুমিকম্পে ধ্বংসের নগরী। ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির সব ওলটপালট হয়ে গেছে। হাজার পেরিয়েও তরতর করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। এই অবস্থায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের এই ভয়াবহ ভূমিকমম্পের বিধ্বংসী শক্তি ছিল ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ববিদ জেস ফনিক্স দেশটির গণমাধ্য সিএনএনকে বলেছেন, মিয়ানমারের ভূমিকম্প যে পরিমাণ শক্তি নির্গত করেছে তা প্রায় ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান। মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। নিহতের সরকারি সংখ্যা ১০০২ জনে পৌঁছেছে। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। খবর-বিবিসি নিহতদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের। মান্দালয় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের…