সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
মালয়েশিয়ায় আটক ৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট)-এর মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ দেশে বৈধ ও নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল—এমনই বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল। ২৭শে জুন, শুক্রবার কুয়ালালামপুরে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, মালয়েশিয়ার পুলিশ বিভাগ দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে গত ২৪শে এপ্রিল থেকে তিন ধাপে অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে সেলাঙ্গর ও জহর রাজ্যে ৩৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর The Edge Malaysia, Malay Mail, Free Malaysia Today-এর। মন্ত্রী বলেন, “স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দা তথ্য ও সমন্বিত অভিযানে জানা যায়, এই গ্রুপটি ইসলামিক স্টেট-এর চরমপন্থী বিশ্বাস নিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে…
বাংলাদেশ ব্যাংক সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। তার সবটুকুই নতুন টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা পেয়েছে দুর্বল ১২ টি ব্যাংক। শনিবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ঋণ নেওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, এবি ব্যাংক, বিসিবিএল, আইসিবি, বেসিক ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। তবে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, যার পরিমাণ ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে ডিমান্ড লোনের মাধ্যমে ১০টি ব্যাংক পেয়েছে ৩৩ হাজার কোটি…
।। নিজাম উদ্দিন টিটো।। সবার মন্তব্য ভুল প্রমাণিত করেছিলেন। আমেরিকার, বিশ্ব ব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকির তোয়াক্কা না করে! বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের পর কে কি বলেছিলেন। (১) খালেদা জিয়া ১৭ অক্টোবর, ২০১১ স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন বাতিল করলো। ২ জানুয়ারি, ২০১৮ ছাত্রদলের এক আলোচনায় বিএনপি নেত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার। কিন্তু পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। এ সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে।এ সেতুতে কেউ উঠবেন না। অনেক রিস্ক আছে। (২) ড. আকবর আলি খান ১ জুলাই, ২০১২ বিশ্ব ব্যাংকের…
রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা হয় ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিন। এবার সেই ভাস্কর্যকে ঘিরে থাকা ম্যুরাল সংবলিত সাতটি দেয়ালও ভেঙে ফেলেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ নামে এই ম্যুরালের জায়গাটিকে উন্মুক্ত স্থান করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে এরই মধ্যে সেখানে ‘গণমিনার’ নির্মাণ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ভাঙার কাজ শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ এই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেউ কেউ একে ‘ইতিহাস মুছে ফেলার প্রয়াস’…
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কন্টেইনমেন্টের নিরাপত্তা ও দৃঢ়তা পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাশিয়ার রোসাটম জানায়, এই পরীক্ষায় কন্টেইনমেন্টের অভ্যন্তরীণ চাপ ও গ্যাসধারণ ক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনায় শেষ সুরক্ষা স্তর হিসেবে কাজ করবে। কন্টেইনমেন্টটি শক্তিশালী কংক্রিট ও ইস্পাত দিয়ে তৈরি, যা তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া রোধে সক্ষম। শিগগিরই ‘হট মিডিয়া টেস্ট’ চালানো হবে, যেখানে তাপ ও বাষ্প তৈরি করে নিরাপত্তা যাচাই করা হবে। রোসাটম জানিয়েছে, এসব পরীক্ষায় কিছু শব্দ হতে পারে, তবে তা স্বাভাবিক এবং আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট নিয়েই প্রকল্পটি এগোচ্ছে।
।। মো. হরমুজ আলী ।। না, আমি অবশ্যই এটা আশা করিনা! বাংলা ভাষাটাই এমন, খালি ডর দেখায়! কী দরকার ছিলো এমন একটা বাগধারার; খালি খালি মানুষের মনে সন্দেহের উদ্রেক করা! এতো-এতো কাঠখড় পুড়িয়ে, একটা এনজিও থেকে মেডেল গ্রহণের উছিলায়, গরীবের টাকার শ্রাদ্ধ করে, ছয় হাজার মাইল উড়ে এসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রবাসীদের গালাগাল হজম করে যে ‘মৃতসঞ্জীবনী’ বৈঠকটি হলো এবং একটা যৌথ বিবৃতিও পড়া হলো, তারপরও কেনো জানি পারস্পরিক বিশ্বাস ’জমাট’ বাঁধছেনা! এতো সন্দেহ নিয়ে কী পীরিতি হয়! অবৈধ হলেও এটা একটা সরকারতো, না-কি! আপনারাই তাদেরকে বৈধতা দিয়েছেন। এবং, এই দৌড়ে প্রথম হতে পারেননি কারণ ডা: শফিকের ‘ফিটনেস’ আপনাদের থেকে…
চার প্রধান দাবিতে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম অভিমুখী রোডমার্চ ফেনীতে পৌঁছেছে। দেশের বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে আয়োজিত রোডমার্চ গতকাল শুক্রবার রাতে ফেনী পৌঁছায়। ২৮জুন, শনিবার সকালে সেখানে মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর হাজারি রোড মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলটি মহিপাল হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফেনী শহীদ মিনারের সামনে পথসভায মিলিত হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স রোডমার্চ কর্মসূচির চার দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর…
আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারী, দেশের শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- কুমিল্লায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অন্যতম রূপকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের স্মরণে নির্মিত একটি ম্যুরাল কতিপয় দুর্বৃত্তের দ্বারা ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি নিছক একটি শিল্পবস্তুর ক্ষতিসাধন নয়, বরং ভাষা শহীদদের প্রতি অবমাননা এবং আমাদের স্বাধীনতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি-বোধের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি নগ্ন অপতৎপরতা। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। প্রয়াত রফিকুল ইসলাম ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা। তাঁর চিন্তা ও সক্রিয় প্রচেষ্টাতেই ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা আজ বিশ্বজুড়ে মাতৃভাষার প্রতি…
।। মো. হরমুজ আলী।। ইদানিং একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় প্রায়শই! প্রশ্নকারীর মধ্যে সহযোদ্ধা, বন্ধু, সুহৃদ, দলীয় সমর্থক থেকে তথাকথিত নির্দলীয়রাও আছেন। প্রশ্নটা হচ্ছে – আওয়ামী লীগ এখন কী করবে! যতো সাদাসিধাই মনে হউক না কেনো, উত্তরটা কিন্তু অতো সাদাসিধা না। প্রথমেই বুঝে নেয়া দরকার – আওয়ামী লীগ কোন প্রেক্ষাপটে, কী প্রয়োজনে এবং কোন অঙ্গীকার নিয়ে জন্ম নিয়েছিল! মোটাদাগে উত্তর বোধহয় এরকম – যে আকাঙ্ক্ষা থেকে বাঙালিরা পাকিস্তান আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল, ‘৪৭ এর তথাকথিত স্বাধীনতার কয়েক মাসের মধ্যেই তারা জেনে যায় যে এটা এক উপনিবেশের জায়গায় আরেক উপনিবেশের দখল। ভারতবর্ষ ভাগ করার পিছনে যে ধর্মীয় উন্মাদনা (উভয় পক্ষে) ছিলো, সেটাও…
।। রিটন খান।। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত? দেশত্যাগ। হ্যাঁ, আপনি ঠিক শুনেছেন—বাংলাদেশ নামক দেশটিকে একরকম নোটিশ ধরিয়ে ‘বাই বাই টাটা’ বলে ফেলেছি। কেউ কেউ দেশ ছাড়ে কান্না চেপে—পেছনে রেখে যায় শৈশবের মাঠ, বাঁশঝাড়ের হুইসেল, কিংবা দাদুর আধ-খাওয়া পান। আর আমি? আমি ছেড়েছি প্রায় গুণগুণ করে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে গাইতে—‘বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি’ টাইপ উদাসীনতায়। এই দেশ আমাকে কী দিয়েছে? জন্ম আর ভাষা—একটা মায়ের পেট, আর একটা মায়ের জিভ। ব্যস। এর বেশি চাইলে বাংলাদেশ ঝাঁঝরা হয়ে যায় আমলাতন্ত্রে, পচে যায় গণতন্ত্রে, ভ্যাপসা হয়ে ওঠে রাজনৈতিক লোলুপতায়। আমি তো ভাবছিলাম জন্মেছি মানুষ হয়ে—তবে কেন শৈশবেই শিখে গেলাম ‘কোটা পেলে চাকরি, না…