চারুকলার জয়নুল উৎসব ও বার্ষিক প্রদর্শনী শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন দেশের প্রবীনতম প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, যিনি কার্টুন শিল্পে রনবী নামে বিখ্যাত টোকাই চরিত্রের স্রষ্টা, এমিরেটাস অধ্যাপক রফিকুন্নবী। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বেই চারুকলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হয় মঞ্চে না যাওয়ার জন্য। যদিও এখনও তিনি চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক পদে আসীন। অনুষ্ঠানে নিয়মিত পুরস্কার তালিকার বাইরেও শিল্পী রফিকুন্নবী এবার ব্যক্তিগত ভাবে ২০হাজার টাকা মূল্যমানের একটি পুরস্কার একজন সেরা ছাত্রকে প্রদান করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে আরও অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি আরো ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের পুত্র প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বেই শিল্পী রফিকুন্নবীকে মঞ্চে উঠতে বাধা দেয়া হয়। তাঁকে বলা হয় প্রোভিসি জানিয়েছেন শিল্পী রফিকুন্নবী মঞ্চে থাকলে তিনি থাকবেননা, এ জন্য তাঁর মঞ্চে৩ না উঠাই শ্রেয়। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে চারুকলার বাইরের কিছু ছাত্রকেও এই বরেণ্য শিল্পীর বিরুদ্ধে নানা কটু বাক্য বলতে দেখা যায়।
যে চারুকলায় সেই প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসাবে ঢুকে পরে শিক্ষক হয়ে গোটা জীবন অতিবাহিত করেছে, যেখানে থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন জাতীয় পর্যায়ের এক যুগান্তরকারি চিত্রশিল্পী সেখান থেকেই প্রচন্ড এক অভিমান বুকে নিয়ে তিনি চলে গেলেন। আজীবন গণ-মানুষের অধিকার আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি আঁকাই হয়তো তার বড় অপরাধ।
রফিকুন্নবীকে মঞ্চে না উঠতে দেয়ার প্রতিবাদে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের পুত্র ময়নুল আবেদিনও মঞ্চে না উঠেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান।