বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে ক্যাম্পসে আশি-নব্বই দশকের সন্ত্রাসী সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তির দুরভিসন্ধি করছে ছাত্র শিবির।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এমসি কলেজ শিক্ষার্থী তালামীযে ইসলামীয়ার কর্মী মিজানুর রহমান রিয়াদের উপর বর্বর হামলা করে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত রিয়াদ তাদেরকে শিবিরের কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কুয়েটে সন্ত্রাসী হামলা ও ছাত্র রাজনীতিতে গুপ্ত সংগঠন শিবিরের ইন্ধন নিয়ে কথা বলায় মধ্যরাতে রিয়াদের রুমে হামলা করে শিবিরের ক্যাডাররা। এসময় ছাত্র শিবিরের নাজমুল, সাদমান, ইসমাইলসহ ৮-১০ জন রিয়াদের উপর নৃশংস হামলা করে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রিয়াদকে রক্তাক্ত করে তারা পালিয়ে যায় বলে আহত শিক্ষার্থী জানান।
কেবল মত প্রকাশের কারণে শিক্ষার্থী উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি মনীষা ওয়াহিদ ও সাধারণ সম্পাদক মাশরুখ জলিল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন ” ক্যাম্পাসগুলোতে শিবিরের সহিংসতার ইতিহাস নতুন কিছু নয়। বরং সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্র শিবির বরাবরই বিরোধী মত দমনে তৎপর ছিল। ক্যাম্পাসগুলোতে শিবিরের সহিংসতা ছিলো একসময়ের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অতীতেও এই সংগঠনটি কেবল স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতাই নয় বরং ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে গণহত্যার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে কাজ করেছে। ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের পর শুন্য জায়গা দখল করেছে সন্ত্রাসী শিবির। সারাদেশেই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের আলাপ তুলে ক্যাম্পাসগুলোতে গুপ্তভাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে শিবির। “
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মিজানুর রহমান রিয়াদের উপর হওয়া হামলার বিচার নিশ্চিতকরণসহ শিবিরের সন্ত্রাসীদের আইনানুগ বিচার দাবী করেন। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালীন সময়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তাসহ শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তার স্বার্থে এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাই।
তালামীযে ইসলামিয়া কর্মীর উপর শিবিরের এই হামলা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বিরোধী। স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি এবং ছাত্রদের মাঝে লুকিয়ে থাকা শিবির ক্যাডারদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে সুষ্ঠু রাজনীতির ধারাকে বেগবান করার আহ্বান জানায় ছাত্র ইউনিয়ন।