গ্রেপ্তার, নিপীড়ন আর মবের ভয় জয় করেই ক্রমে বড় হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মিছিল করেছে। ১লা নভেম্বর, শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ফার্মগেট অভিমুখে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি।
এর আগে শুক্রবার ঢাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত ৪০টি বিক্ষোভ মিছিলের পরদিনই রাজধানীর রাজপথ আবারও কাঁপল “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”, “হটাও ইউনুস, বাঁচাও দেশ” শ্লোগানে।
শনিবার দুপুর একটার পর থেকেই আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার–ফেস্টুন ও লাল–সবুজ পতাকা হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন।
মিছিলটি অগ্রসর হয় বিজয় স্মরণী হয়ে ফার্মগেটের দিকে। পথে তরুণ প্রজন্ম, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মিছিলকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। অনেকেই “জয় বাংলা” শ্লোগানে অংশ নেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের এক নেতাকর্মী বলেন, “আমাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে, তবুও ভয় পাই না। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী—তাই ভয় নয়, হাসিমুখে কারাবরণ আমাদের গৌরব।”
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, “বিএনপি–জামায়াতের পরিকল্পিত মব, পুলিশের দমন—কিছুই আমাদের দমাতে পারছে না। প্রতিদিন মিছিল বড় হচ্ছে, মানুষ এখন রাজপথে নেমে আওয়াজ তুলছে।”
রাজধানীর আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত দীর্ঘ এই মিছিলে ‘অবৈধ ইউনুস সরকারের পদত্যাগ’ ও ‘নেতাকর্মীদের নির্যাতনের অবসান’-এর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলের আশেপাশে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাহস বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের এক কর্মী সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থনের কথা জানিয়ে বলেন, ‘মিছিল শেষ করে বাসে উঠলাম তখন সামনে যেতেই পুলিশ চেক করতেছে। বাসে আমরা ৮ জন মিছিলকারী ছিলাম। পুলিশ চেকিং দেখে চিন্তায় পড়ে যাই। তাৎক্ষণিক এক বেসরকারি চাকরিজীবী ভাই বললো বিচলিত হবেন না, আমি আছি আপনারা চুপ করে বাসে বসে থাকেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘সেই চাকরিজীবী ভাই তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে পুলিশের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, পুলিশকে বলে ভাই আপনারা বাস কেন থামালেন, পুলিশ বললো বাসের ভিতর মিছিলের ছেলেরা আছে। সেই চাকরিজীবী ভাই উত্তর দিলো এখানে কোন মিছিলের ছেলেরা নাই। আপনারা বাস যেতে দেন আমার ছোট বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে হবে। পুলিশ ও চাকরিজীবী ভাই বহু কথা কাটাকাটির পর বাস ছেড়ে দেয়’।
‘বাসের কন্ডাক্টর আমাদের থেকে বাস ভাড়া নেয়নি’, বলে জানান আওয়ামী লীগের এ কর্মী। পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে বাসশ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
